এই প্রতিবেদনে বিদেশ শব্দটির ব্যবহার বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে হয়েছে, যার ফলে একক সংজ্ঞা দিয়ে ব্যাখ্যা করা কঠিন। প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিদেশ ভ্রমণ, বিদেশী পাসপোর্ট, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি, বিদেশী সংস্থা ইত্যাদি বিষয়গুলি আলাদা আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ: অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে। ৯ই ডিসেম্বর জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী, জাতীয় স্বার্থ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে না। একই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব একসাথে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। বিনোদন ভ্রমণ ও দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষা ছুটিতে বিদেশ যাওয়া নিষিদ্ধ।
বিদেশী পাসপোর্ট: ১৫ই ডিসেম্বর থেকে প্রবাসীরা এমআরপি পাসপোর্ট পেতে শুরু করবে বলে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন। সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি: বিদেশ থেকে বাংলাদেশে পণ্য আনার ক্ষেত্রে শুল্ক ও করের বিধিবিধান মেনে চলতে হবে। কোনো কোনো জিনিস শুল্ক ছাড়া আনা যায়, আবার অনেকের জন্য শুল্ক দিতে হয়। এই নিয়মাবলী প্রতি বছর বাজেটের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক: ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নয়ন চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। বিএনপি'র ‘ঢাকা টু আখাউড়া লং মার্চ’ কর্মসূচীতে ভারতের সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকে।
অন্যান্য বিষয়: প্রতিবেদনে ডেঙ্গু মৃত্যু, দুর্নীতি দমন কমিশনের নতুন চেয়ারম্যানের ঘোষণা, জ্বালানি খাতের উন্নয়ন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তথ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি, পি.কে. হালদারের জামিন শুনানি, দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তথ্য, ঢাকার বায়ু দূষণ, এবং বিভিন্ন আরও তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এই সকল ঘটনা বিদেশের সাথে সরাসরি সংযুক্ত না থাকলেও, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অবস্থান ও সম্পর্কের উপর এর প্রভাব পড়ে।