চট্টগ্রাম আদালতের হারিয়ে যাওয়া নথি ও মফিজুল হক ভুঁইয়া
চট্টগ্রাম আদালতের ১৯১১ টি মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গত রোববার নগরের কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া। তিনি জানান, পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে ১৯১১টি মামলার কেস ডকেট পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় রাখা ছিল। আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় (১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর) অফিস বন্ধ থাকায় নথিগুলো হারিয়ে গেছে। তদন্তে পুলিশ নিয়োজিত। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিষয়ে মফিজুল হক ভুঁইয়ার কোনো নির্দিষ্ট তথ্য ছিল না। তিনি এর জন্য দায়ী কে বা কারা তা বুঝতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেন।
তিনি আরও জানান যে, তিনি কিছুদিন আগে এই দায়িত্ব পেয়েছেন এবং নথি রাখার জন্য কক্ষের অভাব ছিল। তার কার্যালয় নথিপত্রে ভরে আছে। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। তিনি উল্লেখ করেন, বিচারিক কাজে এই সিডিগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যান্য সংবাদে উল্লেখিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের শুনানিতে মফিজুল হক ভুঁইয়া রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এই ঘটনার সাথে মফিজুল হক ভুঁইয়ার সংশ্লিষ্টতা পিপি হিসেবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে কাজ করা। তার বয়স, জাতিগত পরিচয় ও ধর্মীয় পরিচয় সংবাদে উল্লেখ করা হয়নি।