পাসপোর্ট: আন্তর্জাতিক ভ্রমণের অনন্য পরিচয়পত্র
পাসপোর্ট হলো একটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নথি, যা একটি দেশের সরকার কর্তৃক জারি করা হয় এবং ভ্রমণকারীর জাতীয়তা ও পরিচয় নিশ্চিত করে। এটি ব্যক্তির নাম, জন্ম তারিখ ও স্থান, ছবি, স্বাক্ষর এবং অন্যান্য চিহ্নিতকরণ তথ্য ধারণ করে। আধুনিক পাসপোর্টে বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিস স্ক্যান ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে, যা ভ্রমণকারীর নিরাপত্তা ও সনাক্তকরণকে আরও নিশ্চিত করে। ডিসেম্বর ২০০৮ অনুযায়ী ৬০ টি দেশ এবং এপ্রিল ২০১৭ অনুযায়ী ৯৬ টি দেশ বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট ব্যবহার শুরু করেছে।
পাসপোর্টের ইতিহাস: প্রাচীনকাল থেকেই ভ্রমণের জন্য কিছু না কিছু পরিচয়পত্রের প্রয়োজন ছিল। হিব্রু বাইবেলে (নেহেমিয়া ২ঃ৭-৯), ৪৫০ খ্রিস্টাব্দে পাসপোর্টের মতো এক ধরণের কাগজপত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়। মধ্যযুগীয় ইসলামিক খেলাফতে শুল্ক প্রদানের রসিদ পাসপোর্টের ভূমিকা পালন করত। যারা যাকাত ও জিজিয়া কর দিত, তারাই খেলাফতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারত।
বর্তমানে ই-পাসপোর্টের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে থাকে পাসপোর্টধারীর তিন ধরণের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিস স্ক্যানের তথ্য। এটি ভ্রমণকারীর তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহজতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। পাসপোর্টের বৈধতা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য থাকে এবং পুনর্নবীকরণ প্রয়োজন হতে পারে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি। এই নথিটি সঠিকভাবে রাখা এবং এর সাথে সম্পর্কিত সকল নিয়মকানুন মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী।