বস্ত্র অধিদপ্তর

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২২ পিএম

বস্ত্র অধিদপ্তর: বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্পের অগ্রদূত

বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যরত বস্ত্র অধিদপ্তর দেশের বস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন, বিকাশ ও সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭৮ সালে জাতীয় সংসদের অধ্যাদেশের মাধ্যমে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে বস্ত্র পরিদপ্তর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, যার আগে এর দায়িত্ব ছিল শিল্প মন্ত্রণালয়ের বস্ত্র শাখার উপর। পরবর্তীতে, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে, বস্ত্র পরিদপ্তরকে বস্ত্র অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়।

বস্ত্র অধিদপ্তরের প্রধান কার্যাবলী:

  • বস্ত্রসহ কৃত্রিম, বিশেষায়িত যান্ত্রিক তাঁত পণ্যের আভ্যন্তরীণ ও বহিঃ বিপননের সমন্বয়।
  • বস্ত্র পণ্য ও বাজারজাতকরণ বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির সমন্বয়।
  • বস্ত্র সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশনা।
  • বস্ত্র শিল্পে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও উন্নয়ন।
  • বস্ত্র শিল্পের জন্য কারিগরি সহযোগিতা।
  • কাঁচামালসহ বস্ত্র পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি।
  • বেসরকারী খাতে বস্ত্র শিক্ষা কারখানার উন্নয়ন।
  • কাঁচামালের গবেষণা ও উন্নয়ন।
  • বস্ত্র কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ।
  • বস্ত্র ও বস্ত্র পণ্যের তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ।
  • দেশের প্রাথমিক বস্ত্র খাতের কারিগরি মূল্যায়ন।
  • বস্ত্র শিল্পের পোষক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালন।
  • বস্ত্র খাতের উন্নয়নমূলক প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

বস্ত্র অধিদপ্তর দেশের বস্ত্র শিল্পের জন্য দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর অধীনে ৯টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১১টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং ৪১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট কার্যরত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর বেশিরভাগ প্রযুক্তিবিদ দেশের বিভিন্ন বস্ত্র কারখানায় কর্মরত রয়েছে।

বস্ত্র অধিদপ্তরের কার্যক্রমের মাধ্যমে বস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা হচ্ছে। তবে, অধিদপ্তরের আরও বিস্তারিত তথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭৮ সালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত
  • বস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
  • ৯টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১১টি ইনস্টিটিউট ও ৪১টি ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট পরিচালনা করে
  • দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।