কাজিপুর: সিরাজগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা
বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত কাজিপুর উপজেলা ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই উপজেলার উত্তরে বগুড়ার ধুনট ও সারিয়াকান্দি, পূর্বে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা এবং যমুনা নদী, দক্ষিণে সিরাজগঞ্জ সদর, এবং পশ্চিমে বগুড়ার ধুনট উপজেলা অবস্থিত।
ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন:
কাজিপুর উপজেলার আয়তন ৩২৮.১৫ বর্গ কিলোমিটার। এটি ২৪°৩৩' ও ২৪°৪৭' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৩৩' ও ৮৯°৪৮' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। যমুনা নদীর চরাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা নিয়ে গঠিত কাজিপুরে বহু প্রাচীন বসতি নদী ভাঙনে ধ্বংস হয়ে গেছে।
জনসংখ্যা ও জনসংখ্যার ঘনত্ব:
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কাজিপুর উপজেলার জনসংখ্যা ছিল ২,৮৫,৩০৯ জন। (পুরুষ- ১,৪০,২১৩ জন, মহিলা- ১,৪৫,০৯৬ জন)। জনসংখ্যার ঘনত্ব ৮৩৫ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটার।
প্রশাসনিক বিভাগ:
কাজিপুর উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এই ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি সম্পূর্ণ চর এলাকায় অবস্থিত।
ঐতিহাসিক ঘটনা:
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কাজিপুরের চরাঞ্চল মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়স্থল ছিল। গান্ধাইল ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ী হয়। এই যুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে।
নামকরণ:
কাজিপুরের নামকরণের পেছনে একটি ঐতিহাসিক কাহিনী লুকিয়ে আছে। ১৮৭২ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরে চর এলাকার ভূমি ব্যবস্থা ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য জমিদার জাহ্নবী রাণী চৌধুরীর পরামর্শে কাজিপুর কাচারি বাড়িতে একটি বিচারালয়