শিক্ষা

শিক্ষা: জাতির উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি

শিক্ষা জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্যক্তির বিকাশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত শিক্ষার ধারা ও বিকাশের ইতিহাস উল্লেখযোগ্য। প্রাচীনকালে গুরুকুল ও সংঘারাম ছিল শিক্ষার কেন্দ্র। বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাপ্রথা ছিল প্রসিদ্ধ। নালন্দা, তাম্রলিপ্তি, বিক্রমশীলা শিক্ষার উন্নত কেন্দ্র ছিল। নালন্দার শীলভদ্র ছিলেন বিখ্যাত বাঙালি আচার্য। মধ্যযুগে মসজিদ ও মাদ্রাসা ইসলামি শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠে। নবদ্বীপ, সপ্তগ্রাম ছিল হিন্দু শিক্ষার কেন্দ্র। উপনিবেশিক যুগে ইংরেজি শিক্ষার প্রচলন বৃদ্ধি পায়। রাজা রামমোহন রায়, মেকলে, কার্জন শিক্ষা সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসার ঘটে, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসারও উল্লেখযোগ্য। জাতীয় শিক্ষানীতি, শিক্ষা কমিশন, বিভিন্ন কমিটি শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান ও স্নায়ুবিজ্ঞান শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সহায়ক। শিক্ষা একটি চলমান প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ব্যক্তি ও জাতি উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী হতে পারে।

মূল তথ্যাবলী:

  • প্রাচীনকালে গুরুকুল ও সংঘারাম ছিল শিক্ষার কেন্দ্র
  • মধ্যযুগে মসজিদ ও মাদ্রাসা ইসলামি শিক্ষার কেন্দ্র
  • উপনিবেশিক যুগে ইংরেজি শিক্ষার প্রচলন বৃদ্ধি
  • স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার
  • বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য প্রসার