রেলওয়ে

বাংলাদেশের রেলপথের ইতিহাস: এক নজর | বাংলাদেশের রেলওয়ের ইতিহাস ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শুরু হয়েছে। ১৮৫৩ সালে মুম্বাই থেকে থানা পর্যন্ত প্রথম রেললাইন চালু হয়। ১৮৫৪ সালে হাওড়া থেকে রানীগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ চালু হয় বাংলায়। এরপর ধাপে ধাপে রেলপথের বিস্তার ঘটে। ১৮৬২ সালে কলকাতা থেকে রাণাঘাট পর্যন্ত, ১৮৭১ সালে কুষ্টিয়া থেকে গোয়ালন্দ পর্যন্ত, এবং ১৮৮৫ সালে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা পর্যন্ত রেলপথ নির্মিত হয়। ব্রিটিশ আমলে তিন ধরনের গেজের (প্রস্থের) রেলপথ ছিল: ব্রডগেজ, মিটারগেজ এবং ন্যারোগেজ। ১৯১৫ সালে পদ্মা নদীর উপর হার্ডিঞ্জ সেতু নির্মিত হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে ২৬০৬.৫৯ কিমি রেললাইন ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর রেলওয়ের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ২৮৫৮.৭৩ কিমি রেলপথ ও ৪৬৬টি স্টেশন আছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৯০ এর দশক থেকে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হলেও, রেলপথের ব্যাপক উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু বৃহৎ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর রেলপথ, ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইন, এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের রেলওয়ের ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে আরও উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ মায়ানমারের সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৮৫৩ সালে ভারতে প্রথম রেল চালু
  • ১৮৫৪ সালে বাংলায় প্রথম রেল চালু
  • ১৯১৫ সালে পদ্মা সেতু নির্মিত
  • ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর রেল বিভাগের পরিবর্তন
  • স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ
  • বর্তমানে রেলপথের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ
স্থান:স্টকটনডার্লিংটনমোহাওয়াকহাডসনহাওড়ারানীগঞ্জমুম্বাইথানাহুগলিঢাকাসুন্দরবনরেঙ্গুনরাণাঘাটদর্শনাজগতীকুষ্টিয়াগোয়ালন্দসারাচিলাহাটিশিলিগুড়িপার্বতীপুরকাউনিয়াদিনাজপুরদামুকদিয়াপোড়াদহময়মনসিংহনারায়ণগঞ্জজামালপুরজগন্নাথগঞ্জবনগাঁযশোরখুলনাশান্তাহারফুলছড়িবোনারপাড়ারুহিয়াপঞ্চগড়কুড়িগ্রামচিলমারীনরসিংদীমদনগঞ্জফরিদপুরপুকুরিয়াভেড়ামারারায়তালালমনিরহাটমোগলহাটরূপসাবাগেরহাটফেনীবেলুনিয়াকালুখালীভটিয়াপাড়াজয়দেবপুরঈশ্বরদীজামতৈলকলকাতাসিলেটদার্জিলিংকুচবিহারআলীপুর দুয়ারচট্টগ্রামকুমিল্লালাকসামচাঁদপুরশাহবাজপুরটঙ্গীআখাউড়াশায়েস্তাগঞ্জহবিগঞ্জবেল্লাষোলশহরনাজিরহাটদোহাজারীময়মনসিংহগৌরীপুরনেত্রকোনামোহনগঞ্জশ্যামগঞ্জজারিয়াঝঞ্চাইলভৈরববাজারছাতকভোলাগঞ্জ