চাঁদপুর

চাঁদপুর: মেঘনা-পদ্মার সঙ্গমস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক শহর। চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত চাঁদপুর জেলার প্রশাসনিক সদর। ২৬.৮২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই শহরে প্রায় ১৭১,০৬৫ জন বাস করে। পদ্মা ও মেঘনা নদীর সংযোগস্থলের নিকটে অবস্থানের কারণে চাঁদপুর সর্বদা নৌকাযান ও জলপথের সাথে জড়িত। বিশেষ করে, এর সুস্বাদু ইলিশ মাছের জন্য সারাদেশে খ্যাত। এ কারণেই চাঁদপুরকে "ইলিশের শহর" বলা হয়।

চাঁদপুরের নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। কারও মতে, বার ভূঁইয়াদের আমলে বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের নামানুসারে এ নামকরণ। আবার কারও মতে, পুরিন্দপুর মহল্লার চাঁদ ফকিরের নাম অনুসারে। ১৮৭৮ সালে চাঁদপুর মহকুমা এবং ১৮৯৭ সালে পৌরসভা গঠিত হয়।

চাঁদপুরের অর্থনীতি মূলত কৃষি, মৎস্য ও বাণিজ্যের উপর নির্ভরশীল। ইলিশ মাছ রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। শহরটি রাস্তা, রেল ও নৌপথের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের সাথে যুক্ত।

ঐতিহাসিক দিক থেকে চাঁদপুর অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ১৯২০ সালের চা-বাগানের কুলিদের আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা- সবকিছু চাঁদপুরের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে চাঁদপুরে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং একটি বৃহৎ মুক্তাঞ্চলের অস্তিত্ব ছিল।

চাঁদপুরের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জেলা ইলিশ চত্বর, সাহারপারের দিঘি, সাহেবগঞ্জ নীলকুঠি, রূপসা জমিদার বাড়ি, শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির ইত্যাদি। চাঁদপুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক নিদর্শন, এবং জনজীবনকে একত্রে দেখলে, শহরটি বিশেষ এক ঐশ্বর্য ধারণ করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • চাঁদপুর: মেঘনা-পদ্মার সঙ্গমস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর।
  • ইলিশ মাছের জন্য সারাদেশে খ্যাত "ইলিশের শহর"।
  • ১৮৭৮ সালে মহকুমা, ১৮৯৭ সালে পৌরসভা গঠিত।
  • মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
  • ঐতিহাসিক নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থানে সমৃদ্ধ।

গণমাধ্যমে - চাঁদপুর

২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

চাঁদপুরের পদ্মা নদীতে লঞ্চ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।