বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে, অবৈধ রিসোর্ট নির্মাণের ঘটনা বেশ প্রচলিত। এই অবৈধ নির্মাণ কাজগুলি পরিবেশের ক্ষতি, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকার উপর বিরূপ প্রভাব এবং আইনের অমান্যের প্রতীক। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, সুন্দরবন এর আশেপাশে এ ধরণের অনুমোদনহীন রিসোর্ট নির্মাণের অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রে, প্রভাবশালী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার কারণে এসব অবৈধ কাজগুলি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
সেন্ট মার্টিন: সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে ১৯৯৯ সালে পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করা হলেও, সেখানে অবৈধ রিসোর্ট ও কটেজ নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। দিয়ারমাথা সৈকতসহ ভ্রমণ নিষিদ্ধ এলাকায় অনেক রিসোর্ট নির্মিত হয়েছে। স্থানীয়রা এবং পরিবেশবাদীরা অভিযোগ করেন যে, ঢাকা, চট্টগ্রাম প্রভৃতি স্থানের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই অবৈধ নির্মাণ কাজের সাথে জড়িত। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন এবং অবৈধ রিসোর্ট নির্মাণের ফলে দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।
সুন্দরবন: সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ইসিএ এলাকায়ও অবৈধ রিসোর্ট নির্মাণের প্রসার ঘটেছে। খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। এই রিসোর্টগুলিতে জেনারেটর, এসি ব্যবহারের ফলে পরিবেশ দূষণ বেড়েছে।
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায়, মো: নূর আলীর মালিকানাধীন ‘সোনারগাঁও রিসোর্ট সিটি’ এবং ‘সোনারগাঁও ইকোনোমিক জোন’ কর্তৃক মাটি ভরাট করে অবৈধভাবে রিসোর্ট নির্মাণের ঘটনা ঘটেছে। হাইকোর্ট এই কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।
গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী তৈয়বুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি দখল করে রিসোর্ট ও খামার নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
এসব ঘটনা প্রমাণ করে যে, অবৈধ রিসোর্ট নির্মাণের সমস্যাটি জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এর প্রতিরোধের জন্য সরকারী পদক্ষেপের তীব্র প্রয়োজন। আমরা আশা করি সরকার এই সমস্যার সমাধানে তৎপর হবে। আরও তথ্য প্রকাশিত হলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।