কক্সবাজার

কক্সবাজার: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের অধিকারী, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত এই শহরটি তার অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং বহু-সংস্কৃতির সমাহারের জন্য বিখ্যাত। ১২০ কিলোমিটারের অবিরত বালুময় সমুদ্র সৈকত, ঝাউবন, পাহাড়, নদীনালা, এবং বঙ্গোপসাগরের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য কক্সবাজারকে করে তুলেছে অনন্য। এই শহরটি একসময় পানোয়া এবং পালংকি নামেও পরিচিত ছিল। নবম শতাব্দী থেকে ১৬১৬ সাল পর্যন্ত আরাকান রাজ্যের অধীনে ছিল। মুঘল সম্রাট শাহ সুজা কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এখানে ক্যাম্প স্থাপন করেন, যা 'ডুলহাজারা' নামে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীতে ত্রিপুরা, আরাকান, পর্তুগিজ এবং ব্রিটিশদের শাসনের অধীনে থাকার পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের নামানুসারে এটি কক্সবাজার নামে পরিচিত হয়। ১৮৫৪ সালে কক্সবাজার থানা এবং ১৮৬৯ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়।

কক্সবাজারে পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে উন্নত। অনেক হোটেল, মোটেল, পাঁচ তারকা হোটেল, ঝিনুক মার্কেট, বার্মিজ মার্কেট, ফিস একুরিয়াম, প্যারাসেলিং, ওয়াটার বাইকিং, কক্স কার্নিভাল সার্কাস শো, দরিয়া নগর ইকোপার্ক, ফিউচার পার্ক, শিশুপার্ক, এবং অসংখ্য ফটোসুট স্পট পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়। নবনির্মিত আইকনিক রেল স্টেশনটিও পর্যটন ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন।

কক্সবাজারে রাখাইনসহ বিভিন্ন উপজাতি বাস করে। রামুতে বৌদ্ধ মন্দির এবং কক্সবাজার শহরে দুর্লভ বৌদ্ধ মূর্তি সমৃদ্ধ মন্দির পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত একটি প্রধান আকর্ষণ।

কক্সবাজারের আশেপাশে অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে হিমছড়ি, রামু, সোনাদিয়া দ্বীপ, মহেশখালী দ্বীপ, টেকনাফ, এবং সেন্ট মার্টিনস দ্বীপ। এই স্থানগুলিতে ঝর্ণা, ঝাউবন, পাহাড়, অরণ্য, প্রবাল প্রাচীর, বন্যপ্রাণী, মন্দির, এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখা যায়। টেকনাফের 'মাথিনের কুপ' ঐতিহাসিক ও প্রেমের একটি স্মারক।

মূল তথ্যাবলী:

  • কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের জন্য বিখ্যাত।
  • এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র।
  • এখানে রয়েছে সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
  • কক্সবাজারে বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায় বাস করে।
  • নবনির্মিত আইকনিক রেল স্টেশনটি পর্যটন ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে।

গণমাধ্যমে - কক্সবাজার

২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের বার্ষিক সভা কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়