মো. আব্দুল জলিল

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ এএম
নামান্তরে:
মো আব্দুল জলিল
মো. আব্দুল জলিল

মোহাম্মদ আব্দুল জলিল: বাংলাদেশের রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের এক অবিস্মরণীয় নেতা

মোহাম্মদ আব্দুল জলিল (২১ জানুয়ারি ১৯৩৯ - ৬ মার্চ ২০১৩) ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তার রাজনৈতিক জীবন ছিল বহুমুখী - বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বাণিজ্যমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ, এবং মৃত্যুকাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নওগাঁ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন।

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন:

আব্দুল জলিলের জন্ম নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার চকপ্রাণ গ্রামে। তার শিক্ষাজীবনের শুরু স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, পরে নওগাঁ কে. ডি. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং রাজশাহী কলেজে। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ১৯৬৩ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। আইন পড়ার জন্য তিনি লন্ডনে যান, কিন্তু ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সময় দেশে ফিরে আসেন।

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ:

মুক্তিযুদ্ধের সময় আব্দুল জলিল নওগাঁ ও উত্তরাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধের শুরুতে তিনি ৭৪ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ভারতে গিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনা করেন। যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু তাকে উত্তরাঞ্চলের জেনারেল হিসেবে অভিহিত করেন। নওগাঁ শহরে আব্দুল জলিল চত্বরে বিজয় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ তার অবদানের স্মারক।

রাজনৈতিক জীবন:

১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি রাজশাহী-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাকশাল শাসনামলে নওগাঁর গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ১৯৭৯ সালে মুক্তি পান। ১৯৮০-এর দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিবিসি রেডিও এবং ভয়েস অব আমেরিকায় আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবেও কাজ করেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাধারণ সম্পাদক, এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে ‘ট্রাম্প কার্ড’ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে পড়েন। ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেফতার হন এবং শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তিপূর্ণ চিঠি লেখার জন্য সমালোচিত হন।

ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু:

আব্দুল জলিল দীর্ঘদিন কিডনি ও হৃদরোগে ভোগেন এবং তিনবার বাইপাস সার্জারি করান। ২০১৩ সালের ৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে মৃত্যুবরণ করেন।

উল্লেখ্য, মো. আব্দুল জলিল নামে আরও ব্যক্তি বিদ্যমান। উপরোক্ত লেখাটি ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণকারী আব্দুল জলিলের উপর।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী
  • আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন
  • বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন
  • মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন
  • নওগাঁ-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মো আব্দুল জলিল

মো. আব্দুল জলিল চুরি করা অটোরিকশা ব্যবহার করছিলেন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন।

মো. আব্দুল জলিল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে ঋণ অনুমোদনে ভূমিকা পালন করেছেন

জসীম উদ্দীনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুরে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

মো. আব্দুল জলিল ফরিদপুরের পুলিশ সুপার হিসেবে জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।