বাংলাদেশে শিশু নিহতের ঘটনা: একটি বেদনাদায়ক বাস্তবতা
গত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের সময় অনেক শিশু ও কিশোর নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় দেশবাসীর মনে বেদনা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম আলো, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং অন্যান্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমপক্ষে ৭০ জনেরও বেশি শিশু-কিশোর নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬০ জনের মরদেহে গুলির ক্ষতচিহ্ন ছিল।
এই নিহত শিশু-কিশোরদের মধ্যে অনেকে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করছিল, অনেকে রাস্তা পার হওয়ার সময় নিহত হয়েছে, আবার কেউ কেউ নিজের বাসায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থান (সাভার, টঙ্গী সহ) এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের বয়স ৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে ছিল, এবং তাদের মধ্যে ৩৬ জন শিক্ষার্থী ও ২০ জন শিশুশ্রমে নিযুক্ত ছিল।
১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের এক প্রতিবেদনে এই সময়ের বিক্ষোভ ও পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ৬৫০ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এছাড়াও, শিশু অধিকারবিষয়ক জোট ‘চাইল্ড রাইটস অ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশ’ (সিআরএসিবি) এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এই ঘটনার পর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় এবং ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে, স্বজনদের প্রশ্ন - হারানো শিশুরা কি আর ফিরে আসবে? এই ঘটনার পেছনে কারা দায়ী এবং কিভাবে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনা চলছে। আমরা এই ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য পেলে আপনাদের অবগত করব।