জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন: বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার এক অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের জন্য গঠিত। দীর্ঘদিনের আকাঙ্খার পর ২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বর কমিশনটি কাজ শুরু করে। দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এর গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কমিশনের গঠনের পটভূমি:

১৯৯০-এর দশক থেকেই বাংলাদেশে একটি স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন গঠনের আলোচনা চলে আসছিল। ১৯৯৪ সালে প্রথম মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং ১৯৯৫ সালে আইডিএইচআরবি নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০০১ সালে আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয় মানবাধিকার কমিশন গঠনের সম্ভাবনা যাচাই করার জন্য। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কমিশন গঠনের উদ্যোগ ঘোষণা করে এবং ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর অধ্যাদেশের মাধ্যমে কমিশনটি গঠিত হয়।

কমিশনের কার্যক্রম:

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান কাজ হলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্ত করা এবং সরকারকে সুপারিশ করা। এটি সুয়োমোটো রুল জারি করতে পারে এবং ব্যক্তি, রাষ্ট্র বা সরকারের যেকোনো অংশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করতে পারে। তদন্তের পর কমিশন সরকারকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে। কমিশন স্বল্পকালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্যও সুপারিশ করতে পারে। কমিশন প্রতি বছর ৩০শে মার্চের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে তার কার্যক্রমের বাৎসরিক প্রতিবেদন পেশ করে।

কমিশনের গঠন:

কমিশনের একজন সভাপতি এবং দুইজন কমিশনার থাকে। সভাপতি হন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, এবং কমিশনারদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং অপরজন মানবাধিকার আন্দোলনের সমর্থক কোনো নারী নেত্রী। সদস্যদের নির্বাচনের জন্য একটি নির্বাচনী কমিটি থাকে।

কমিশনের গুরুত্ব:

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জনগণের কাছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে। কমিশনের কার্যক্রম সফল করার জন্য সরকার ও সকলের সহযোগিতা অপরিহার্য।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বর কার্যক্রম শুরু
  • মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত ও সুপারিশ
  • সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সভাপতি
  • সরকারকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ
  • প্রতি বছর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

৮ জানুয়ারি ২০২৫

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে।