তিস্তামুখ

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:২৯ এএম

তিস্তামুখ: একটি পরিত্যক্ত রেলপথের গল্প

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় অবস্থিত তিস্তামুখ ঘাট দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। একসময় জমজমাট এই রেলঘাট এখন অযত্ন ও অবহেলার কারণে ধ্বংসের মুখে। ১৯৩৮ সালে ব্রিটিশ আমলে ঢাকা, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সাথে রেল যোগাযোগের উন্নয়নের লক্ষ্যে তিস্তামুখ ঘাটে এই রেলপথ স্থাপিত হয়। যমুনা নদী পারাপারের জন্য এখানে ফেরি সার্ভিসও চালু ছিল। ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর ফেরি সার্ভিস বন্ধ হলে রেলপথটিও অব্যবহৃত হয়ে পড়ে।

বর্তমানে তিস্তামুখ ঘাট থেকে ভরতখালী পর্যন্ত রেলপথের কাঠের স্লিপারসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়ে গেছে। রেললাইন গুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রেলস্টেশন ভবন, গুদামঘর ও কর্মচারীদের কোয়ার্টার সবই অবৈধ দখলে চলে গেছে। এই পরিত্যক্ত রেলপথের প্রায় এক হাজার একর জমি, তিনটি কর্মচারী কলোনী, স্টেশন ঘর ও গুদামঘর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংস হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, এই রেলপথ বন্ধ হওয়ার পর এলাকার হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা রেলপথের সংস্কার এবং পুনরায় ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও পথসভা করেছেন। রেল কর্তৃপক্ষ বন্ধ রেল স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন পাহারাদার নিয়োগের কথা জানিয়েছে, তবে অবৈধ দখল উচ্ছেদের দায়িত্ব ভূ-সম্পদ বিভাগের।

আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে আর্টিকেলটি আপডেট করবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • তিস্তামুখ ঘাটের রেল যোগাযোগ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ।
  • রেলপথের কোটি কোটি টাকার সম্পদ অরক্ষিত ও লুটপাটের শিকার।
  • ১৯৩৮ সালে ব্রিটিশ সরকার দ্বারা রেলপথ নির্মিত।
  • ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর রেলপথ বন্ধ হয়।
  • স্থানীয়দের রেলপথ সংস্কার ও পুনরায় ট্রেন চালুর দাবি।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।