মাদক ব্যবসা

বাংলাদেশে মাদক ব্যবসা ও সেবন এক ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিভিন্ন গবেষণা ও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা লাখোয়, যার বেশিরভাগই ইয়াবাসেবী। এই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তি, সংগঠন এবং রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা।

  • *মাদকের প্রকৃতি ও প্রসার:** বাংলাদেশে একসময় ফেনসিডিল বেশি প্রচলিত ছিল, কিন্তু ১৯৯৯ সাল থেকে ইয়াবা ধীরে ধীরে এর জায়গা দখল করে নেয়। ২০০৯ সালে ১,২৯,০০০ ইয়াবা উদ্ধারের তুলনায় ২০১৭ সালে উদ্ধার করা হয় চার কোটি ইয়াবা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসল চালান আরও দশগুণ বেশি। একটি ইয়াবার দাম ২০০ টাকা। এই হিসেবে ইয়াবার বাজারের আকার বিলিয়ন টাকায়।
  • *মাদক ব্যবসায় জড়িতরা:** মাদক ব্যবসায় জড়িত রয়েছে ছোটো খুচরা বিক্রেতা থেকে শুরু করে, বড় বড় মাদক ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। কক্সবাজারে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরও সাথে মাদক ব্যবসার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা দেশের বাইরে অর্থ পাচারের চেষ্টা করে, অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে এবং অপরাধের প্রবণতা বৃদ্ধি করে।
  • *সরকারের অভিযান ও প্রতিক্রিয়া:** সরকার মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযানে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার, মৃত্যু এবং মাদকের বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসছে। তবে, অনেক বিশ্লেষকের মতে, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। সীমান্তে মাদক পাচার বন্ধে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
  • *মাদকের প্রভাব:** মাদক ব্যবহারের ফলে একজনের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতি হয়। অন্যদিকে, দেশের অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মাদকাসক্তি থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রয়োজন, যার সংখ্যা দেশে যথেষ্ট নয়।
  • *সমাধানের পন্থা:** বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকের চাহিদা ও যোগান দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। চাহিদা কমাতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। একই সাথে মাদকের যোগান শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার কারণে মাদকের বিস্তার রোধে ব্যাপক ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশে মাদক ব্যবসা এক ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
  • ইয়াবা বর্তমানে মাদকের প্রধান উৎস।
  • মাদক ব্যবসায় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
  • সরকার মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে, কিন্তু স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন।
  • মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।

গণমাধ্যমে - মাদক ব্যবসা

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

এই ঘটনায় একজন ব্যক্তি তার স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ করেছেন।