সরকার

সরকার: একটি গভীর বিশ্লেষণ

সরকার, শাসনব্যবস্থা, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ - এটি একটি দেশের কাঠামো, নিয়ন্ত্রণ ও জনকল্যাণের নিশ্চয়তা দেয়। গণতন্ত্রে, জনগণের প্রতিনিধিরা (সংসদ সদস্য) সরকার গঠন করে। সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো দেশের নিরাপত্তা, শান্তি বজায় রাখা, মানুষের জান-মালের সুরক্ষা ও বিচার ব্যবস্থা পরিচালনা। রাজস্ব সংগ্রহ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এ দায়িত্ব পালন করে সরকার।

স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন রূপ দেখা যায়। এছাড়াও ব্যবসায়িক, শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা থাকে। আকার ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী সরকারের কাঠামো পরিবর্তিত হয়। বৃহৎ সংগঠনে জটিলতা বৃদ্ধি পায়, ফলে আনুষ্ঠানিক নীতি ও কার্যপদ্ধতি প্রয়োজন হয়।

মুগল আমলে সরকারের প্রেক্ষাপট:

মুগল সম্রাট আকবর ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে বাংলাকে ১৯টি সরকারে বিভক্ত করেন। তিনি সমগ্র মুগল সাম্রাজ্যকে ১০৫টি সরকারে ভাগ করেন যা আবার ২০৩৭টি মহলে বিভক্ত ছিল। এই ১৯টি সরকারের প্রশাসন, অর্থ ও সেনাবাহিনীর দায়িত্ব ছিল সিকদার-ই-সিকদারানের, রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব মুনসিফ-ই-মুনসিফানের এবং বিচার বিভাগের দায়িত্ব কাজির উপর ন্যস্ত ছিল। আকবর বাংলা প্রদেশের সরকারকে ৬৮২টি উপবিভাগে (মহল বা পরগণা) বিভক্ত করেন। ১৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে শাহ সুজা বাংলার সরকার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনেন, উড়িষ্যাকে যুক্ত করেন এবং সরকারের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন। মুর্শিদকুলী খানের আমলে বাংলার ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে। তিনি ১৩টি নতুন চাকলা সৃষ্টি করেন এবং পরগণার সংখ্যা বৃদ্ধি করেন।

উল্লেখ্যযোগ্য ব্যক্তিবর্গ:

  • সম্রাট আকবর
  • রাজা টোডরমল
  • শাহ সুজা
  • মুর্শিদকুলী খান
  • নাসরীন আক্তার (তথ্য উৎস)

মূল তথ্যাবলী:

  • সরকার হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ
  • গণতন্ত্রে জনগণের প্রতিনিধিরা সরকার গঠন করে
  • সরকারের প্রধান দায়িত্ব জনকল্যাণ ও দেশের নিরাপত্তা
  • মুগল আমলে বাংলা ১৯টি সরকারে বিভক্ত ছিল
  • আকবর, টোডরমল, শাহ সুজা, মুর্শিদকুলী খান সরকার ব্যবস্থার সাথে জড়িত ছিলেন

গণমাধ্যমে - সরকার

নৌ পরিবহন উপদেষ্টা একটি সাধারণ সভায় সরকারের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই বলে দাবি করেছেন।