অপরাধ: একটি ব্যাপক বিশ্লেষণ
অপরাধ, বা কসুর, হলো আইনবিরুদ্ধ কাজ। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রণীত আইনের লঙ্ঘনই অপরাধ। এটি গুরুতর কিংবা লঘু, উভয় ধরণেরই হতে পারে। শাস্তি হিসেবে অর্থদণ্ড, কারাদণ্ড, এমনকি প্রাণদণ্ডও বিধান রয়েছে। অপরাধীদের শনাক্ত ও বিচারের জন্য থানা, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করে। আদালতের বিচারক অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী শাস্তি নির্ধারণ করেন।
অসৎ ব্যক্তিরা অপরাধে জড়িত হলেও, সাধারণ মানুষও এর সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে, অমানবিক প্রাণী অপরাধের সাথে জড়িত হতে পারে না। অপরাধের ধরণ নানা রকম- খুন, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, সন্ত্রাসবাদ, জালিয়াতি ইত্যাদি। এছাড়া মদ্যপান, মাদকাসক্তি, নিষিদ্ধ মাংস খাওয়াও অপরাধ। ইংরেজিতে ‘crime’ শব্দটি ল্যাটিন ‘cernō’ থেকে এসেছে যার অর্থ ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি দণ্ড দিব’।
ধর্মেও পাপকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। যুদ্ধও একটি রাষ্ট্রীয় অপরাধ। সমাজবিজ্ঞানী রিচার্ড কুইনী বলেছেন, ‘অপরাধ হচ্ছে সামাজিকতার দৃশ্যমান প্রতিফলন’। অনেক দেশ তাদের আইন তাদের নিজস্ব প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে তৈরি করে। কপিরাইট লঙ্ঘনও অপরাধ। মাদক উৎপাদন, বিক্রয় নিষিদ্ধ।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই পুলিশ বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কাজ করে। সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয় এবং তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটন করা হয়। আদালত বিচার করে এবং শাস্তি প্রদান করে। গুরুতর অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
অপরাধের ধরণ এবং প্রকৃতি সময়ের সাথে সাথে বদলে যায়। সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রযুক্তির উন্নয়ন অপরাধের ধরন ও প্রকৃতিতে প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ লক্ষ্য করা যায়। যেমন চুরি, ডাকাতি, খুন, মাদক পাচার, মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসবাদ, নারী ও শিশু নির্যাতন ইত্যাদি। সীমান্ত অপরাধ, সাইবার অপরাধ, কর্পোরেট অপরাধ, ঘৃণাজাত অপরাধ ইত্যাদিও রয়েছে। অপরাধের উপাদান, শ্রেণীবিভাগ এবং শাস্তির বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ মাদকের ট্রানজিট দেশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদ বর্তমানে বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা।
তথ্য উৎস: www.police.gov.bd