১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই ‘বৈষম্যমুক্ত দেশ’ গঠনের আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশের মানুষের মনে জাগ্রত। রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মনিরপেক্ষতা, এবং সকলের জন্য সমান অধিকারের স্বপ্ন নিয়েই এই সংগ্রাম। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বহু বাধা-বিপত্তি, স্বৈরশাসন, দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই অব্যাহত। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান এই লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাদের আন্দোলনের মূল চেতনা ছিল বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক একটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। এই আন্দোলন স্বৈরাচারী শাসনকে উৎখাত করে একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। তবে, বৈষম্যমুক্ত দেশ গঠনের পথ এখনও দীর্ঘ এবং বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে একটি সত্যিকারের বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন।
বৈষম্যমুক্ত দেশ’ বলতে বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি এবং নাগরিক সমাজের উদ্যোগগুলোকে বোঝায় যারা একটা সাম্যবাদী, ন্যায়সঙ্গত এবং সকলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিতকারী দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ এর জন আন্দোলন, সব কটিই ‘বৈষম্যমুক্ত দেশ’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াইয়ের অংশ। কিন্তু কেবলমাত্র রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক সমতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করাও এই লক্ষ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুর্নীতি দমন, মানবাধিকার রক্ষা, এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এই প্রক্রিয়া সফল করার জন্য জরুরি। আমরা যখন 'বৈষম্যমুক্ত দেশ' সম্পর্কে আরও তথ্য পাবো, তখন আপনাকে আরও বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আপডেট করবো।