কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য থেকে দুইজন কাজী জাহাঙ্গীর হোসেনের উল্লেখ পাওয়া গেছে। প্রথম কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে কুমিরা যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। দ্বিতীয় কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ হাইকোর্ট বেঞ্চে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, তিনি ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৯ সালে নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তৃতীয় কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক। তিনি খুলনা অঞ্চলে বৃষ্টির কারণে কৃষিক্ষেত্রের ক্ষতির তথ্য প্রদান করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন: এই কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর)-এ কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে, চট্টগ্রামের কুমিরায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি তিন দিন ধরে যুদ্ধ করেছিলেন এবং ২৮ মার্চ শহীদ হন। কুমিরার যুদ্ধে তার সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। তার জন্ম বরিশাল জেলার সদর উপজেলার চর কাউয়া ইউনিয়নের দিনারের পোল এলাকায়।
বিচারপতি কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন: এই কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তিনি ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানের নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য ও আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ২০১০ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার মামলার বিচারেও জড়িত ছিলেন। ২০১২ সালে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন: এই কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক। তিনি খুলনায় বৃষ্টির কারণে কৃষি ক্ষেত্রে বিস্তৃত ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করেছেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রকাশ করেন যে ৮৫,৬০০ হেক্টর আমন ধান ও ৫,৬০০ হেক্টর সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।