বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার: সাহস ও বীরত্বের মহাকাব্য
আবদুল জব্বার (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: ১৯৯৮), বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন অসাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার অদম্য সাহস ও বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। তিনি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার কপালহর গ্রামে ইসহাক আলী ও সৈয়দজান বেওয়ার সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। তার স্ত্রীর নাম আয়েশা বেগম এবং তাদের তিন মেয়ে ও চার ছেলে ছিল।
আবদুল জব্বার ইপিআরে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৭১ সালে দিনাজপুর ইপিআর সেক্টরের নায়েব সুবেদার পদে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি দায়িত্ব পালন করে ভারতে যান এবং নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর জেড ফোর্সের অধীন অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনি বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর, ভারতের মুক্তিযোদ্ধা শিবির থেকে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর, মুজাহিদ, আনসার ও অন্যান্য) বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় প্রবেশ করেন। তাদের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দখলে থাকা ফুলতলা-সাগরনাল চা-বাগান। এই অভিযানে আবদুল জব্বার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাগরনাল চা-বাগানে তীব্র যুদ্ধ হয়, যা সকাল ১১ টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। আবদুল জব্বারের সাহসিকতার ফলে প্রায় ২৫ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয় এবং অনেকে আহত হয়।
আবদুল জব্বারের জীবন ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয়। তার বীরত্বপূর্ণ কাজ স্বাধীনতার জন্য আমাদের সংগ্রামের প্রতীক। তার মত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বলিদানের কারণেই আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করতে পারছি।