ইসলামিক রেভ্যুলেশন গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি)

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ এএম
নামান্তরে:
ইসলামিক রেভ্যুলেশন গার্ডস কর্পস আইআরজিসি
ইসলামিক রেভ্যুলেশন গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি)

ইসলামিক রেভ্যুলেশন গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) ইরানের একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী সামরিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর গঠিত এই সংগঠনটি ইরানের সামরিক বাহিনীর একটি অংশ হলেও, এর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিশাল। আইআরজিসি ইরানের সরকারের প্রতি আনুগত্যশীল, এবং দেশের সর্বোচ্চ নেতার নিকটবর্তী। এদের কার্যকলাপের মধ্যে রয়েছে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা, সীমান্ত পাহারা, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা পালন, অস্ত্র উৎপাদন এবং বিভিন্ন রকম অর্থনৈতিক কার্যকলাপ।

আইআরজিসি-র নৌবাহিনী সম্প্রতি তাদের সামুদ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দক্ষতা প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়েছে। আইআরজিসি কমান্ডার আলিরেজা তাংসিরি-এর মতে, ইরানের বাণিজ্যিক জাহাজগুলো আন্তর্জাতিক জলসীমায় নিরাপদে চলাচল করছে। তিনি ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতি ও সামুদ্রিক সীমান্ত নিরাপত্তার দাবি করেছেন, ইসরাইলের সাথে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষিতেও।

আইআরজিসি ইরানের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর সদস্য সংখ্যা প্রায় দুই লক্ষ। আইআরজিসি-র নিজস্ব স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনী রয়েছে। আইআরজিসি ইরানের কৌশলগত অস্ত্র তদারকি করে এবং ইরানের সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা অনুসারে কাজ করে। বহু দেশ আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে, যেমন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা।

আইআরজিসির বিভিন্ন অভিযান ও কার্যকলাপ মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাদের বিভিন্ন দেশে সামরিক ও রাজনৈতিক সহায়তা প্রদানের ঘটনাও বিশ্ব ব্যাপী চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ইরানের একটি শক্তিশালী সামরিক ও রাজনৈতিক সংগঠন
  • ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর গঠিত
  • আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে
  • মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে
  • অনেক দেশ একে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ইসলামিক রেভ্যুলেশন গার্ডস কর্পস আইআরজিসি

আইআরজিসি নৌবাহিনীর কমান্ডারের বক্তব্যে ইরানের সামরিক প্রস্তুতির কথা উঠে এসেছে।