সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি (ফার্সি: سید عباس عراقچی) একজন ইরানী কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদ। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৬০ সালে তেহরানে জন্মগ্রহণকারী আব্বাস আরাঘচি ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেছেন। তার পেশাগত জীবনের প্রারম্ভ ১৯৮৯ সালে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদানের মাধ্যমে। ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে তিনি সৌদি আরবে ইরানের স্থায়ী মিশনের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স ছিলেন। তিনি ফিনল্যান্ড (১৯৯৯-২০০৩) এবং জাপানে (২০০৭-২০১১) ইরানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনের চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তিনি ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন রাজনৈতিক ডেপুটি ছিলেন। হাসান রুহানির সরকারে তিনি পাঁচ+১ আলোচনায় ইরানের প্রধান পরমাণু আলোচক হিসেবে কাজ করেছেন।
আরাঘচি ২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সিরিয়ার সরকারের প্রতি ইরানের সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের সাথে দেখা করেছেন। ইসরায়েলের ইরানের বিরুদ্ধে হামলার পর তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য জর্ডান, মিশর এবং তুরস্ক সফরে গেছেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের সাথে আলোচনায় তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। তার ব্যক্তিগত জীবনে, তিনি বাহারেহ আবদুল্লাহির সাথে বিবাহিত এবং তাদের দুটি পুত্র এবং একটি কন্যা রয়েছে।
আরও তথ্য পাওয়া গেলে এই নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।