আলী হোসেন নামটি দুই ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত। প্রথম আলী হোসেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি নিখিল ভারতীয় সংযুক্ত গণতান্ত্রিক মোর্চার সাথে যুক্ত। ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তিনি আসাম বিধানসভার সরুক্ষেত্রী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। দ্বিতীয় আলী হোসেন (১৯২৩-১৯৮১) ছিলেন একজন বিশিষ্ট কূটনীতিক।
- *কূটনীতিক আলী হোসেন:**
১৯২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলী হোসেন। ১৯৪৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে এমএসসি এবং ১৯৪৮ সালে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৯ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সে উচ্চতর কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ভারত, তুরস্ক, বেলজিয়াম, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ড, বার্মা এবং অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানি দূতাবাসে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭০ সালে কলকাতা হাইকমিশনে ডেপুটি হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার তাকে পশ্চিম পাকিস্তানে বদলি করে, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ৬৬ জন সহকর্মীর সাথে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন এবং কলকাতায় প্রথম বাংলাদেশ মিশন স্থাপন করেন। স্বাধীনতার পর তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের সচিব, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিম জার্মানি ও কানাডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালের ২ জানুয়ারি কানাডায় মৃত্যুবরণ করেন। তার স্মরণে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে হোসেন আলী সড়ক।