দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা, যারা দেশে দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কাজ করে। ২০০৪ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ অনুসারে দুদক কার্যকর হয়। একজন চেয়ারম্যান ও দুজন কমিশনার নিয়ে গঠিত এই কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত। দেশের ৮টি বিভাগে দুদকের ৮টি বিভাগীয় কার্যালয় এবং ৩৬টি সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) রয়েছে।
দুদক কর্মকর্তারা বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেন, যেমন- চেয়ারম্যান, কমিশনার, পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্ত, মামলা দায়ের ও পরিচালনা, দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি।
দুদকের কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন সময় বিতর্ক ও আলোচনা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, পদ্মা সেতু দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদকের ভূমিকা ও পরবর্তীতে কানাডার আদালতে ওই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। তদুপরি, দুদক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, বদলি এবং তাদের কর্মদক্ষতা ও স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি দুদক সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে।
দুদক কর্মকর্তাদের কাজের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য আইন, বিধিমালা এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। দুদক কর্মকর্তাদের স্বাধীনতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে দুর্নীতি দমনে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।