আবদুল মাজেদ

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের একজন দোষী

১৯৪৮ সালের ২২শে জুন জন্মগ্রহণকারী ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কিত নাম হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং ২০২০ সালের ১২ই এপ্রিল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন আবদুল মাজেদ। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি সেনেগালে দূতাবাসে বদলি হন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করে বিআইডব্লিউটিসি, যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আবদুল মাজেদ আত্মগোপনে চলে যান।

১৯৭৫ সালের ১৪ই আগস্ট বেঙ্গল ল্যান্সার্স অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুট করে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের শ্যালক আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসভবনে হামলায়ও তিনি অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খন্দকার মোশতাক আহমেদকে ক্ষমতায় আনার পিছনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ডেও তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।

বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর ১৯৯৮ সালে ঢাকা দায়রা আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ২০২০ সালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তিনি দীর্ঘদিন কলকাতায় আত্মগোপনে ছিলেন, পরে ২০২০ সালের ১৬ মার্চ বাংলাদেশে ফিরে এসে গ্রেফতার হন।

আবদুল মাজেদের জীবন ও কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনীতি ও সামরিক ইতিহাসে একটি বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে স্থান পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য তার ফাঁসির রায় ইতিহাসের এক অন্ধকার দিনের স্মারক হিসেবে অনুভূত হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • আবদুল মাজেদ ছিলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের একজন আসামী।
  • তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সাবেক ক্যাপ্টেন ছিলেন।
  • দীর্ঘ আত্মগোপনের পর ২০২০ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
  • তিনি জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডেও জড়িত ছিলেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।