দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃত্রিম সংকটের ঘটনা সম্প্রতি বেশ আলোচিত হয়েছে। এই সংকটের প্রকৃতি ও কারণ বিচিত্র। কখনও কখনও এটি কোনও নির্দিষ্ট পণ্যের সরবরাহ কমিয়ে বা দাম বাড়িয়ে তৈরি করা হয়, কখনওবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে।
দিনাজপুরে আলু বীজের সংকট: দিনাজপুরের কৃষকরা রবি মৌসুমে আলুবীজ ও সারের কৃত্রিম সংকটের শিকার হয়েছেন। বাজারে আলু বীজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে (প্রতি কেজি ৩০-৫৫ টাকা পর্যন্ত)। খানসামা উপজেলার ১৯৫৮ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হলেও, বীজের দাম বৃদ্ধির কারণে চাষাবাদে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
শৈলকুপায় সারের সংকট: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ইউরিয়া সহ অন্যান্য সারের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। বিসিআইসি অনুমোদিত ডিলারদের এই সংকট তৈরিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। একজন ডিলারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ৩০০ বস্তা ইউরিয়া উদ্ধার করা হয়েছে।
পাবনায় সারের দাম বৃদ্ধি: পাবনায় কৃষক পর্যায়ে সারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। প্রতি বস্তা সার ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ ঘাটতির অভিযোগের বিপরীতে ডিলারদের কারসাজির অভিযোগ উঠেছে।
সরকারের পদক্ষেপ: বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বাজারে পণ্য সরবরাহে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে দেওয়া হবে না বলে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। চাহিদা ও যোগানে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। চট্টগ্রামে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অন্যান্য কৃত্রিম সংকট: প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্যগুলো ছাড়াও, অন্যান্য কৃত্রিম সংকটের ঘটনা বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে। তবে তা সংগ্রহের জন্য আরো তথ্যের প্রয়োজন। আমরা আপনাকে ভবিষ্যতে আরও তথ্য দিয়ে আপডেট করব।