গোলাম নবী

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৯ এএম

গোলাম নবী নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, দুইজন গোলাম নবীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম গোলাম নবী একজন ধর্মীয় পণ্ডিত এবং হাদীসের অধ্যাপক ছিলেন, আর দ্বিতীয় গোলাম নবী একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ।

প্রথম গোলাম নবী (ধর্মীয় পণ্ডিত):

গোলাম নবী কাশ্মীরি (২ জুলাই ১৯৬৫ – ৭ নভেম্বর ২০১৯) ছিলেন একজন প্রখ্যাত কাশ্মীরি মুসলিম পণ্ডিত ও ফকিহ। তিনি দারুল উলুম ওয়াকফের হাদীসের সিনিয়র অধ্যাপক ছিলেন। তিনি পুঞ্চের জামিয়া জিয়াউল উলুম এবং জামিয়াত আল-তাইয়্যিবাতেও হাদীস শিক্ষা দিয়েছেন। দারুল উলুম ওয়াকফের প্রাথমিক স্নাতকদের মধ্যে তিনি অন্যতম এবং কারী মুহাম্মদ তৈয়বের জীবনী ‘হায়াত-ই-তৈয়্যব’ রচনা করেন। ১৯৬৫ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে জন্মগ্রহণকারী কাশ্মীরি প্রাথমিক শিক্ষা তাঁর জন্মস্থানে লাভ করেন এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য দারুল উলুম দেওবন্দে যোগদান করেন। দেওবন্দে প্রশাসনিক বিরোধের কারণে তিনি দারুল উলুম ওয়াকফে চলে যান এবং ১৯৮৩ সালে দারস-ই-নিজামীতে স্নাতক হন। তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষায় এমএ এবং ড. ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উর্দু ভাষায় এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন আনজার শাহ কাশ্মীরি এবং সালেম কাসেমি। ১৯৮৫ সালে দারুল উলুম ওয়াকফের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৭ সাল পর্যন্ত সেখানে কর্মরত ছিলেন। তিনি ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ, সুনান তিরমিযী এবং ফিকহশাস্ত্রের বেশ কয়েকটি বই পড়িয়েছেন। তিনি দারুল উলুম জাকারিয়ায়ও কিছু সময় হাদীসের সিনিয়র অধ্যাপক ছিলেন। জীবনের শেষ সময় পুঞ্চে কাটিয়েছেন এবং জামিয়া জিয়া আল-উলুম ও জামিয়াত আল-তাইয়্যিবাতে হাদীস পড়িয়েছেন। কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি সংক্ষিপ্ত সময় প্রভাষক হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর ছাত্রদের মধ্যে ফয়জুল ওয়াহেদ অন্যতম। পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি ৭ নভেম্বর ২০১৯ সালে দিল্লিতে মারা যান এবং দারুল উলুম দেওবন্দের মোলসারি প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

দ্বিতীয় গোলাম নবী (রাজনীতিবিদ):

গোলাম নবী আজাদ (জন্ম ৭ মার্চ ১৯৪৯) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন এবং ২০০৫ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে, তিনি তার নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠন করেন, যার নাম ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টি। তিনি ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন এবং ২০০৫ সাল পর্যন্ত মনমোহন সিংহ সরকারের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। ২০০২ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তার দলকে জয় এনে দেন। ২০২২ সালে তাকে ভারত সরকার পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত করে। তিনি ১৯৪৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের দোদা জেলার সোটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং জম্মু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক ও কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ভালেসা ব্লক কংগ্রেস কমিটির সচিব হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি বেশ কয়েকবার রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০২২ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন।

উপরোক্ত দুইজন গোলাম নবীর মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করার জন্য, প্রয়োজনীয় হলে বিস্তারিত তথ্যসহ অনুগ্রহ করে নতুন তথ্য যোগাযোগ করুন।

মূল তথ্যাবলী:

  • গোলাম নবী কাশ্মীরি একজন কাশ্মীরি মুসলিম পণ্ডিত ও ফকিহ ছিলেন।
  • তিনি দারুল উলুম ওয়াকফে হাদীসের অধ্যাপক ছিলেন।
  • তিনি কারী মুহাম্মদ তৈয়বের জীবনী লিখেছেন।
  • গোলাম নবী আজাদ একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।
  • তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা ছিলেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।