বাংলাদেশের আবাসন খাত বর্তমানে গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, এবং জটিল নীতিমালা এর প্রধান কারণ। মোহাম্মদপুরের শাহজাহান মোল্লা ও তার স্ত্রী, সিলেটের চাঁদনী বেগম ও শামজিদ হোসেন, মিরপুরের শিক্ষক শ্যামলী আক্তার ও তার স্বামী ফরহাদ হোসেন, এবং মোহাম্মদপুরের হারুন শিকদারের মতো অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারই ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ব্যাংক থেকে টাকা তোলার অসুবিধা, এবং উচ্চ নিবন্ধন ফি তাদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে ফ্ল্যাট বিক্রি ৫০% পর্যন্ত কমে গেছে। ২০১০-১২ সালে বছরে গড়ে ১৫,০০০ ফ্ল্যাট বিক্রি হলেও, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ১০,০০০ এর নিচে নেমে এসেছে। ড্যাপ (ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান) এর জটিলতা, নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি, এবং ব্যাংক খাতের অস্থিরতাও এই সংকটের প্রধান কারণ। রিহ্যাব ড্যাপ বাতিলের দাবি জানিয়েছে এবং নিবন্ধন ফি কমানোরও আহ্বান জানিয়েছে। স্টিল উৎপাদনকারীরাও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছে। আবাসন খাতকে চাঙ্গা করার জন্য রিহ্যাব আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি আবাসন মেলা আয়োজন করেছে। মেলার মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকার অ্যাপার্টমেন্ট ও প্লট বুকিংয়ের আশা করা হচ্ছে।
আবাসন খাত
মূল তথ্যাবলী:
- আবাসন খাত গভীর সংকটের মধ্যে
- ফ্ল্যাট বিক্রি ৫০% কমেছে
- অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা প্রধান কারণ
- ড্যাপ-এর জটিলতা সমস্যার মূল
- নিবন্ধন ফি কমানোর দাবি
- আবাসন মেলায় উন্নতীর আশা
গণমাধ্যমে - আবাসন খাত
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬:০০ এএম
আবাসন খাতে মন্দা দেখা দিয়েছে।