ভোলায় এক নারীকে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার হারুন শিকদার
ভোলায় বিরোধপূর্ণ জমি দখলকে কেন্দ্র করে এক নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় হারুন শিকদার (ওরফে ভন্ড হারুন) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৪ ডিসেম্বর বিকেলে দৌলতখান উপজেলার চালতাতলা বাজার সংলগ্ন কাজী বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৪ নভেম্বর দুপুরে উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে বাবুল শিকদার ও তোফাজ্জল শিকদার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বাবুল শিকদারের নেতৃত্বে হারুন শিকদারসহ একাধিক ব্যক্তি তোফাজ্জল শিকদারের পরিবারের উপর হামলা চালায়। হামলায় তোফাজ্জল শিকদার গ্রুপের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। আমেনা বেগম ওরফে লিপি আক্তার নামে এক নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতন করা হয়। এই নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে।
১৭ নভেম্বর তোফাজ্জল শিকদার গ্রুপের রুমানা বেগম বাদী হয়ে বাবুল শিকদার গ্রুপের নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার ৫ জন আসামি ২৮ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে। ৮ নম্বর আসামি শাহীনের জামিন নামঞ্জুর হয় এবং তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। হারুন শিকদার মামলার ২ নম্বর আসামি এবং পেশায় কবিরাজ। ভুয়া কবিরাজি করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কারণে স্থানীয়রা তাকে ভন্ড হারুন নামে চেনে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভোলা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল হাওলাদার এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাসনাইন পারভেজ জানিয়েছেন পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে এবং অবশিষ্ট আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাবুল শিকদার গ্রুপ দাবি করেছে, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাবুল শিকদার ও তোফাজ্জল শিকদারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।