বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিভিন্ন ধরণের শিক্ষার্থী সংগঠন রয়েছে। এই সংগঠনগুলির উদ্দেশ্য, কার্যক্রম ও রাজনৈতিক-সামাজিক অবস্থান নানা রকম। কিছু সংগঠন শুধুমাত্র শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকে, আবার কিছু সংগঠন রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকে। এই লেখাটিতে, বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষার্থী সংগঠনের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি:
৪ অক্টোবর ২০২৩ সালে আখতার হোসেনসহ কিছু শিক্ষার্থী 'গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি' নামে একটি স্বতন্ত্র ছাত্র সংগঠন গঠন করেন। এই সংগঠনের মূলনীতি 'শিক্ষা, শক্তি ও মুক্তি'। সংগঠনের লক্ষ্য শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, পরিসর ও সংস্কৃতি নির্মাণ, শিক্ষার্থী কল্যাণ, ছাত্র-নাগরিক রাজনীতি নির্মাণ ও রাষ্ট্র-রাজনৈতিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন। প্রতিষ্ঠার সময় ৩১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনটি ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে নিজেদের বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক:
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা 'সোচ্চার টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ'-এর স্টুডেন্টস ক্লাব হিসেবে 'সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক' বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করে। এই সংগঠনের লক্ষ্য ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্যাতনমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (বাকৃবি শাখা):
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) রাজনীতি পুনরায় শুরুর চেষ্টায় 'জুলাই স্মৃতি পরিষদ' নামে একটি নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করে। এটি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বাকৃবি শাখার নেতা-কর্মীদের নতুন রূপ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, তারা এই নতুন সংগঠনের আড়ালে রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব ও সংগঠন:
প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েই বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে। এই সংগঠনগুলি শিক্ষার্থীদের বহুমুখী দক্ষতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শিক্ষার্থী সংগঠনগুলির কার্যক্রম ও প্রভাব বিশ্লেষণ করার জন্য আরও তথ্য ও গবেষণার প্রয়োজন।