রাশেদুল হক নামটি একাধিক ব্যক্তি ও ঘটনার সাথে জড়িত। প্রদত্ত তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, অন্তত তিনটি ভিন্ন রাশেদুল হকের উল্লেখ রয়েছে। এদের মধ্যে একজন বিশ্বসেরা গবেষক, আরেকজন ছাত্রলীগের নেতা এবং তৃতীয় ব্যক্তি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক। আর একজন শহীদ রাশেদুল হক যিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন।
বিশ্বসেরা গবেষক রাশেদুল হক: আলপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যাংকিং ২০২৩ অনুযায়ী, ৯২৬৩ বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর মধ্যে সেরা বিজ্ঞানী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রাশেদুল হক। তিনি আইসিডিডিআর,বি-র জ্যেষ্ঠ গবেষক এবং সংক্রমণ ও পরজীবীবিজ্ঞান গবেষণাগারের প্রধান বিজ্ঞানী। প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি অন্ত্রীয় সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা করছেন। বর্তমানে তার গবেষণার ক্ষেত্র অন্ত্রীয় প্রোটোজোয়া পরজীবী, র্যাপিড টেস্ট, ওষুধের কার্যকারীতা পরীক্ষা, পোলিও ও রোটাভাইরাস ভ্যাকসিন এবং ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা পরীক্ষা ইত্যাদি।
ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল হক দিদার: কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় রাশেদুল হক দিদার (২৫) নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদুল হক: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ড. মো. রাশেদুল হক। তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (পুরকৌশল) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল হক রাশেদ: কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল হক রাশেদকে জামিন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আদালত ঘেরাও করে।
শহীদ রাশেদুল হক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া রাশেদুল হকের পরিবারকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। তিনি রাজধানীর শনির আখড়ায় একটি গার্মেন্টসে কর্মরত ছিলেন এবং মাত্র ২১ দিনের বিবাহিত জীবনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
উপরোক্ত তথ্য থেকে বোঝা যায় যে, রাশেদুল হক নামে একাধিক ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের কাজ, পেশা ও জড়িত ঘটনাবলী ভিন্ন। আরো তথ্য পাওয়া গেলে এই নিবন্ধটি আরও সম্পূর্ণ করা হবে।