বুয়েট

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট): এক ইতিহাসের সাক্ষী

বাংলাদেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) দেশের অন্যতম প্রাচীন ও খ্যাতনামা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকার লালবাগ থানার পলাশী এলাকায় অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ১৮৭৬ সালে ঢাকা সার্ভে স্কুল হিসেবে শুরু। ব্রিটিশ ভারতের সরকারি কাজে নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলটি পরবর্তীতে আহসানউল্লাহ স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং পরে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে পরিচিতি পায়। নওয়াব খাজা আহসানউল্লাহর অবদানে এটি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষালয়ে রুপান্তরিত হয়।

১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (EPUET) হিসেবে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বর্তমানে বুয়েট ৬টি অনুষদ ও ১৮টি বিভাগ নিয়ে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে।

বুয়েটে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন: ড. এম. এ. রশিদ (প্রথম ভাইস-চ্যান্সেলর), হাকিম আলী (অধ্যক্ষ), এ. এম. আহমেদ (প্রথম ডীন), এম. এ. জব্বার (প্রথম রেজিস্ট্রার) প্রমুখ। বুয়েটের ইতিহাসে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের মতো কালো অধ্যায়ও রয়েছে যা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে পরিণত হয়। বুয়েট ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য, শিক্ষার মান ও গবেষণার ক্ষেত্রে এর অবদান অপরিসীম। বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে ৭৬.৮৫ একর জায়গার উপর অবস্থিত। এখানে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন লাইব্রেরি, হল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বুয়েট বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও সেরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
  • ১৮৭৬ সালে ঢাকা সার্ভে স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু
  • নওয়াব আহসানউল্লাহর অবদানে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষালয় হিসেবে গড়ে ওঠে
  • ১৯৬২ সালে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ
  • বর্তমানে ৬টি অনুষদ ও ১৮টি বিভাগ নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা

গণমাধ্যমে - বুয়েট

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।