আবু সাঈদ

আবু সাঈদ: কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক প্রাণের বলিদান

আবু সাঈদ (২০০১-১৬ জুলাই ২০২৪), একজন তরুণ, উদীয়মান শিক্ষার্থী এবং ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি তার বিভাগের ১২তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছিলেন।

আবু সাঈদের জন্ম রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে। তিনি মকবুল হোসেন ও মনোয়ারা বেগমের ছয় ছেলে এবং তিন মেয়ের মধ্যে সবার ছোট। শিক্ষাজীবনে তিনি সবসময়ই উজ্জ্বল ছাত্র ছিলেন, স্থানীয় জাফর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে এবং খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি এবং রংপুর সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তার শিক্ষাগত সাফল্য তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়েছিল।

কিন্তু ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। আন্দোলনকারীরা তাকে আন্দোলনের প্রথম শহীদ বলে আখ্যায়িত করে। তার মৃত্যু জনগণের মনে গভীর শোকের ছায়া ফেলে এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনে নতুন তীব্রতা যোগায়।

আবু সাঈদের মৃত্যুর পর রংপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার প্রতি দৃষ্টিপাত করা হয়। তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে রংপুর পার্ক মোড়ের নাম পরিবর্তন করে ‘আবু সাঈদ চত্বর’ এবং রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের নামকরণ করা হয় ‘শহীদ আবু সাঈদ গেট’। তার স্মৃতি রক্ষার্থে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আবু সাঈদের বলিদান দেশের যুব সমাজের মনে প্রেরণা হিসেবে স্থায়ী হয়ে থাকবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • আবু সাঈদ ছিলেন ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী।
  • তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
  • ১৬ জুলাই ২০২৪ পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন।
  • আন্দোলনকারীরা তাকে আন্দোলনের প্রথম শহীদ বলে আখ্যায়িত করে।
  • তার মৃত্যু কোটা সংস্কার আন্দোলনে নতুন তীব্রতা যোগায়।