রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ: উত্তরবঙ্গের দুই প্রাণকেন্দ্র
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বিভাগ হল রংপুর ও রাজশাহী। ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, অর্থনীতি ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের দিক থেকে উভয় বিভাগই সমৃদ্ধ।
রাজশাহী বিভাগ:
অবস্থান: বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।
আয়তন: প্রায় ১৮,১৫৪ বর্গ কিলোমিটার।
জনসংখ্যা: ২ কোটি ৩৩ লাখের উপরে (২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী)।
জেলা: রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
নদ-নদী: পদ্মা, যমুনা, আত্রাই, মহানন্দা, করতোয়া প্রভৃতি।
উল্লেখযোগ্য দিক: প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক, বহু প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান (যেমন পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার), আম, লিচু, পান, মিঠা পানির মাছের চাষের জন্য বিখ্যাত। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পোস্টাল একাডেমীসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান অবস্থিত।
রংপুর বিভাগ:
অবস্থান: বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত।
আয়তন: প্রায় ১৬,১৮৫ বর্গ কিলোমিটার।
জনসংখ্যা: প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ।
জেলা: রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও।
নদ-নদী: তিস্তা, যমুনা প্রভৃতি।
উল্লেখযোগ্য দিক: খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, বস্ত্র, হালকা প্রকৌশল শিল্পের জন্য উল্লেখযোগ্য। রংপুর ও সৈয়দপুর শহর শিল্প কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু। ভারতের সাথে সীমান্ত ভাগ করে।
ঐতিহাসিক দিক:
রাজশাহী ও রংপুর উভয় অঞ্চলই প্রাচীন ঐতিহ্যের অধিকারী। মোগল আমলে উভয় বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। রংপুরে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের মতো ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহীতে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত।
অর্থনৈতিক কার্যক্রম:
রাজশাহী বিভাগ কৃষিকাজের পাশাপাশি শিল্পায়নেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। রংপুর বিভাগ শিল্পায়নের দিকে বেশি ঝুঁকেছে।
অন্যান্য তথ্য:
উভয় বিভাগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি ওয়েবসাইটগুলো দেখা যেতে পারে।