বেনাপোল কাস্টমস হাউস: বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর
যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলে অবস্থিত বেনাপোল কাস্টমস হাউস বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। ১৯৪৭ সালে একটি চেকপোস্ট হিসেবে যাত্রা শুরু করে, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর এর গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে যায়। বর্তমানে এটি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন প্রায় ১০,০০০ যাত্রী এই চেকপোস্ট ব্যবহার করে। ২০০০ সালে এই স্থলবন্দরের কার্যক্রমের ব্যাপক বিস্তারের সাথে সাথে একটি পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস হাউস প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ রয়েছে যারা তাদের দায়িত্ব পালন করে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল, শুল্কায়নে স্বচ্ছতা ও প্রতিদিন পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত মনিটরিং, চোরাচালানি পণ্য আটকসহ কাস্টম ও বন্দরের সার্বিক ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণের জন্য বিকম নামে একটি নতুন সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। ২০২৩ সালে বেনাপোল কাস্টম হাউস দেশের একমাত্র ডিজিটাল কাস্টম হাউসে উন্নীত হয়। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে পণ্যবাহী ট্রাকের অবস্থান ও পণ্য আনলোডের তথ্য মুহূর্তের মধ্যে জানা যাচ্ছে। বকেয়া রাজস্ব, ব্যাংক গ্যারান্টি, আন্ডারটেকিং ও সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্সের তথ্যও সহজলভ্য হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউস দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর, এবং দেশের স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে সরকারের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় এখান থেকেই হয়। দেশের শিল্প-কলকারখানা ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির ৮০% কাঁচামাল আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে। তবে, গত কয়েক বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যার কারণ হিসেবে করোনাভাইরাস মহামারী, উচ্চ শুল্কহারের পণ্য আমদানি কমে যাওয়া এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবকে উল্লেখ করা হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের কার্যক্রম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে এই লেখাটি আপডেট করা হবে।