আমদানি: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
আমদানি বলতে বোঝায় বিদেশ থেকে কোনও দেশে পণ্য বা সেবা আনা। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আমদানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আমাদের দেশে এমন অনেক পণ্য সরবরাহ করে যা দেশে উৎপাদিত হয় না অথবা যথেষ্ট পরিমাণে উৎপাদিত হয় না।
ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে আমদানির ধরণ এবং পরিমাণ বদলেছে। পূর্বকালে, মূলত কৃষিপণ্য আমদানি করা হতো। কিন্তু আধুনিক যুগে, আমদানির পরিধি অনেক বৃহৎ। আমরা এখন প্রযুক্তি, ঔষধ, যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস সহ নানা ধরণের পণ্য আমদানি করছি।
আমদানির উপর নির্ভরতা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভারসাম্যহীন করে তুলতে পারে, বিশেষ করে যখন আমদানির চাহিদা বেড়ে যায় এবং রপ্তানি কম থাকে। এই অসমতা বাণিজ্য ঘাটতি সৃষ্টি করে। সুতরাং, একটি সুষম বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আমাদের দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা ও উচ্চমানের পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে হবে।
বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য আমদানি করা হয়। চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া সহ অনেক দেশ থেকেই আমরা পণ্য আমদানি করি। প্রতি বছর আমদানির পরিমাণ এবং ধরণ সরকারী পরিসংখ্যানে প্রকাশিত হয়।
সরকার আমদানি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করে। কখনও কখনও কাস্টমস শুল্ক বাড়িয়ে বা আমদানি সীমাবদ্ধ করে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই নিয়ন্ত্রণের মূল উদ্দেশ্য দেশীয় উৎপাদনকে সুরক্ষা দেওয়া এবং বাণিজ্য ভারসাম্য সংরক্ষণ করা।
আমদানির উপর রাজস্ব প্রাপ্তি রাষ্ট্রের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। শুল্ক ও অন্যান্য করের মাধ্যমে রাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ আয় পায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, করোনাভাইরাস মহামারী সহ বিশ্ব অর্থনীতিতে বিভিন্ন ঘটনা আমদানিকে প্রভাবিত করেছে। এই সকল ঘটনা বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ নীতি গঠন করা অত্যন্ত জরুরী।