বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ) হলো বাংলাদেশের কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের একটি শীর্ষস্থানীয় সংগঠন। এই সংগঠনটি দেশের কৃষি খাতের উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে। বিসিএসএ-এর প্রধান কার্যকলাপের মধ্যে রয়েছে কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থাপনার উন্নতিকরণ, কৃষি পণ্য সংরক্ষণে নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ, সরকারের সাথে যোগাযোগ করে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, এবং কোল্ড স্টোরেজ ব্যবসায়ীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান।
বিসিএসএ সরকারকে আলুর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিবছর ১০ লাখ টন আলু সরকারিভাবে সংরক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে। সংগঠনটির মতে, এতে আলুর বাজারে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমবে এবং ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে আলু কিনতে পারবে। এ বিষয়ে বিসিএসএ সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাণিজ্য উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এক বছর আগে আলুর কেজি ছিল ৪৫ টাকার মধ্যে, কিন্তু বর্তমানে সিন্ডিকেটের কারণে দাম অনেক বেশি।
বিসিএসএ-এর তথ্য অনুসারে, দেশে ৪০০-এর বেশি কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে যার অধিকাংশই আলু সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে সংগঠনটির উদ্যোগে পেঁয়াজ, গাজরসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্যও কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের উদ্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিসিএসএ সরকারের কাছে কম সুদে ঋণের দাবি জানিয়েছে, যাতে কোল্ড স্টোরেজ খাতে নতুন বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা যায়। তারা জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাইয়ের কারণে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং বাজারের অস্থিরতার কথা উল্লেখ করেছে।
বিসিএসএ'র সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইশতিয়াক আহমেদ সহ অন্যান্য নেতারা বিভিন্ন সময় কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, দাম নিয়ন্ত্রণ ও কৃষকদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তারা দেশের কোল্ড স্টোরেজগুলোর আধুনিকায়ন ও বৈচিত্র্যময় কৃষিপণ্য সংরক্ষণে জোর দিয়েছেন। আলু ছাড়াও পেঁয়াজ, গাজর এবং অন্যান্য পচনশীল কৃষিপণ্য সংরক্ষণের উপর জোর দিয়ে তারা খাদ্য নিরাপত্তায় এ খাতের গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন। যেখানে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও সরকারি সহায়তা প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন। আরও তথ্য প্রকাশিত হলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।