বাংলাদেশের নারী নিরাপত্তার বিষয়টি জটিল ও বহুমুখী। যুগ যুগ ধরে নারীরা শোষণ, অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। ধর্মীয় গোঁড়ামি, সামাজিক কুসংস্কার, কূপমণ্ডূকতা, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বেড়াজালে আটকা পড়েছে তারা। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে বেগম রোকেয়া, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের অবদান রয়েছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর মানবাধিকার ও সমতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) গৃহীত হয়। বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে এতে স্বাক্ষর করে। ১৯৯৭ সালে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করা হয়। তবুও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, গণপরিবহন এবং সাধারণ জীবনে নারীদের যৌন হয়রানি, নির্যাতন এবং সহিংসতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির প্রতিষেধক নির্দেশনা জারি করে। ২০২১ সালে সাইবার ক্রাইমে নারীরা বেশি শিকার হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, কিন্তু তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ব্যাপক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং নারী সংগঠনসমূহ নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এইসব উদ্যোগের মধ্যে আইন প্রয়োগ, সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা, এবং সামাজিক পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত। তবে, নারীর নিরাপত্তা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে আরও ব্যাপক ও সুসংহত উদ্যোগ প্রয়োজন।
নারী নিরাপত্তা
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর অধিকার ও সমতা নিশ্চিত
- ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের সিডও সনদ গ্রহণ
- শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা একটি চ্যালেঞ্জ
- যৌন হয়রানি ও সহিংসতার ক্রমবর্ধমান ঘটনা
- সরকার ও নারী সংগঠনসমূহের বিভিন্ন উদ্যোগ
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - নারী নিরাপত্তা
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
পতেঙ্গা সৈকতের উন্নয়ন নারী পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুবিধা বৃদ্ধি করবে।