নাজিরগঞ্জ নামটি একাধিক স্থান ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত, যা কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। এই লেখায় আমরা পাবনা জেলার নাজিরগঞ্জের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবো।
পাবনা জেলার নাজিরগঞ্জ:
পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় অবস্থিত নাজিরগঞ্জ একটি ইউনিয়ন। এটি ২১টি গ্রাম এবং ৪১টি মৌজা নিয়ে গঠিত। এই ইউনিয়নের অধিবাসীদের প্রধান পেশা কৃষিকাজ। পদ্মা নদী ইউনিয়নের দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত, আর উত্তরে গাজনার বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক মানুষের সমাগম হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো, ২০ কিলোমিটার পাকা এবং ১৮ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা রয়েছে। এখানে ৪টি হাট (দুটি বড় ও দুটি ছোট) এবং ২টি বাজার রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: এই ইউনিয়নে ৮টি সরকারি ও ৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি কওমি মাদ্রাসা, ২টি হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং ৪টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নাজিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, উদয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়, আমেনা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় এবং শাহিদা জলিল গার্লস স্কুল। এছাড়াও রয়েছে নাজিরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড দারুল উলুম কওমী মাদরাসা, উদয়পুর মাদ্রাসা এবং বড়খাপুর মাদ্রাসা।
দর্শনীয় স্থান: গাজনার বিল, নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট, নীলকুঠি, পদ্মা নদী এবং বড়খাঁপুর বটতলা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান এখানে অবস্থিত।
উল্লেখযোগ্য সংস্থা: ব্র্যাক, সিসিডিবি, গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, পাবনা প্রতিশ্রুতি এবং অনন্য সমাজ কল্যাণ প্রভৃতি সংস্থা নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে কাজ করে।
নাজিরগঞ্জ শুশুক অভয়ারণ্য: পাবনা জেলার বেড়া ও সাথিয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর অংশ বিশেষে অবস্থিত এই অভয়ারণ্যটি ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর ইরাবতী ডলফিনের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর আয়তন ১৪৬ হেক্টর।
নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট: রাজবাড়ীর জৌকুড়া ও পাবনার নাজিরগঞ্জের মধ্যে ফেরি পরিষেবা বিআইডব্লিউটিসি পরিচালনা করে। যাত্রীদের অভিযোগ, একটি ফেরি থাকার কারণে অনেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন এবং অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। নাব্যতা সঙ্কটের কারণেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
উপরোক্ত তথ্য ছাড়াও যদি নাজিরগঞ্জ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন হয়, আমরা তা পরবর্তীতে আপডেট করবো।