গাজনার বিল

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

গাজনার বিল: পাবনার সুজানগর উপজেলার অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ

পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার বৃহত্তম বিল গাজনার বিল। প্রায় ৩১০০ হেক্টর আয়তনের এই বিল ১৬টি ছোট-বড় বিলের সমন্বয়ে গঠিত। সুজানগর উপজেলার প্রায় মাঝখানে অবস্থিত এই বিল উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত। যমুনা নদী, পদ্মা নদী এবং চলন বিল এর পানির প্রধান উৎস। বাদাই সুইচ গেইটের মাধ্যমে গাজনার বিল পদ্মা নদীর সাথে যুক্ত। এই সুইচ গেইট বাঁধেরহাট-সুজানগর সড়কের (মুজিব বাঁধ) সাগরকান্দি গ্রামে অবস্থিত।

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারীতে বন্যা থেকে রক্ষা ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘মুজিব বাঁধ’ নির্মিত হয়। ২০০৯ সালে বিলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য ৪১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় সারা বছর বিলে পানি ধরে রাখার জন্য ছোট ছোট সংযোগ খাল তৈরি করা হয়।

আত্রাই ও পদ্মা নদীর সংযোগস্থলে সৃষ্ট এই বিল রানীনগর, মানিকহাট (বোনকোলা, উলাট, খয়রান), হাটখালি, চরগোবিন্দপুর ও খয়রান-গাবগাছি গ্রামসহ সুজানগর উপজেলার সকল ইউনিয়ন জুড়ে বিস্তৃত। প্রায় ১২ বর্গ মাইল (৩১০০ হেক্টর বা ৩১ বর্গকিলোমিটার) আয়তনের এই বিলে প্রায় ১০,০০০ হেক্টর জমিতে পাট, পিঁয়াজ, ধান এবং মাছ চাষ হয়। বিশেষ করে ৯,০০০ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ উৎপাদিত হয়। গাজনার বিলের সৌন্দর্য্য দেখতে বহু পর্যটক প্রতিবছর এখানে আসেন, বিশেষ করে ঈদ ও ছুটির দিনগুলিতে। খয়রান ব্রিজ পর্যটকদের জনপ্রিয় স্থান।

গাজনার বিল কেবলমাত্র একটি বিল নয়, এটি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং এটি এর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বও বহন করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • গাজনার বিল পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার বৃহত্তম বিল।
  • এটি প্রায় ৩১০০ হেক্টর আয়তনের।
  • যমুনা, পদ্মা ও চলন বিল এর পানির উৎস।
  • ১৯৭২ সালে মুজিব বাঁধ নির্মাণ।
  • ২০১০ সালে ৪১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প।
  • পিঁয়াজ, ধান, পাট ও মাছ চাষের জন্য বিখ্যাত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।