রাজবাড়ীর জৌকুড়া-পাবনার নাজিরগঞ্জ নৌরুট: একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগপথ
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সহজ যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হল রাজবাড়ীর জৌকুড়া এবং পাবনার নাজিরগঞ্জের মধ্যবর্তী নৌরুট। পদ্মা নদীতে অবস্থিত এই নৌপথটি রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ থেকে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর, নাটোরসহ বেশ কয়েকটি জেলাকে সংযুক্ত করে। দূরত্ব কম হওয়ায় এ পথে পণ্য পরিবহণের খরচও কম হয়।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)-এর নিকট জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। যাত্রী সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, বর্তমানে মাত্র একটি ‘করবি’ নামের ফেরি দিয়ে পারাপার করার ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাতের বেলায় কোনো পারাপারের ব্যবস্থা নেই। ট্রলারে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে যানবাহন ও যাত্রী কম থাকার কারণে একটিমাত্র ফেরি চালানো হচ্ছে। তারা ঘাটের নাব্যতা সংকট দূর করার জন্য খননকাজ করছে বলেও জানিয়েছে। তবে যাত্রী ও চালকদের দাবি ২৪ ঘণ্টা ফেরি পরিষেবা চালু করার এবং ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর।
জানুয়ারী ২০২৫ সালে দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটের ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। নাব্যতা সংকটের কারণে আগে বন্ধ ছিল। বিকল্প এপ্রোচ সড়ক নির্মাণের পর ফেরি চলাচল শুরু হয় এবং বর্তমানে দুটি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছে। যদিও পদ্মার পানি না কমলে ফেরি বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই নৌরুটের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম। প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এই নৌপথের যাত্রী সেবা আরও উন্নত করা সম্ভব। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।