বাংলাদেশের ডিমের বাজার: দাম, উৎপাদন, এবং সিন্ডিকেটের প্রভাব
বাংলাদেশের ডিমের বাজার সর্বদা গতিশীল, দামের উঠানামা, উৎপাদন এবং বাজার নিয়ন্ত্রণকারীদের কার্যকলাপের উপর নির্ভর করে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে, বিভিন্ন বাজারে লাল ডিমের পাইকারি দাম ছিল ১১ থেকে ১২ টাকা এবং সাদা ডিমের দাম ছিল ১০.৭০ থেকে ১১.৮০ টাকা। গাজীপুর, ইউনাইটেড এগ (সেল পয়েন্ট) এবং ডাম্পিং মার্কেট এই তিনটি বাজারে ডিমের দামের তথ্য নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়েছে। তবে, মুরগি ও বাচ্চার দামও ডিমের দামের সাথে সম্পর্কযুক্ত। ব্রয়লার মুরগির দাম ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা প্রতি কেজি, কালবার্ড মুরগির দাম ২০০ থেকে ২৭২ টাকা প্রতি কেজি এবং সোনালী মুরগির দাম ২৫৫ থেকে ২৬০ টাকা প্রতি কেজি ছিল।
২০২৪ সালের শুরুতে, এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারী মাসে ডিমের দাম আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি ডিমের দাম ১০.৫ থেকে ১৩ টাকা পর্যন্ত, এবং হালি (৪টি) ডিমের দাম ৪২ থেকে ৫২ টাকার মধ্যে থাকে। পাইকারি বাজারে হাজার ডিমের দাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা ছিল। দেশি মুরগির ডিমের দাম অন্য ডিমের তুলনায় বেশি থাকে।
বাজার নিয়ন্ত্রণ ও দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কাজী ফার্মস, প্যারাগন গ্রুপ, সিপি, ডায়মন্ড এগ এবং পিপলস ফিডস সহ বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানির সিন্ডিকেটের অভিযোগ রয়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তর এবং প্রতিযোগিতা কমিশন এই ধরনের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে এবং মামলা করেছে, কিন্তু সমস্যা সম্পূর্ণরূপে সমাধান হয়নি। ডিমের উৎপাদন খরচ নির্ণয়ের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন। পোল্ট্রি ফিডের দাম নিয়ন্ত্রণে আনলেও ডিমের দাম কমানো সম্ভব হতে পারে। বিভিন্ন বাজার, যেমন তেজগাঁও বাজার, এবং ফেসবুক গ্রুপ, যেমন "ডিম বাজার", ডিমের দামের তথ্য প্রদান করে। তবে এই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত ওয়েবসাইটেও দ্রব্যমূল্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়।