বাংলাদেশে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়, ট্রান্সফরমার চুরি একটি ব্যাপক সমস্যা হয়ে উঠেছে। এই চুরির সাথে জড়িত ব্যক্তি বা সংগঠনের স্পষ্ট পরিচয় না থাকলেও, বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই কাজে সংঘবদ্ধ চক্র, স্থানীয় অসাধু ব্যক্তি এবং কখনও কখনও বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কিছু অসৎ কর্মীর জড়িত থাকার সন্দেহ রয়েছে।
গফরগাঁও উপজেলায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২৭টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের ১০১টি এবং পিডিবির ২৬টি ট্রান্সফরমার অন্তর্ভুক্ত। কেবলমাত্র গফরগাঁও-এই নয়, সারা দেশেই এ ধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক রাতেই তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। জয়পুরহাটের বিভিন্ন মাঠে দেড় মাসের মধ্যে ৫৭টি ট্রান্সফরমার এবং ১১টি মিটার চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আগের দুই মাসে ১৭টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছিল।
এই চুরির ফলে কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বোরো মৌসুমের সময় সেচের ট্রান্সফরমার চুরি হলে কৃষকদের ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও চোররা ধরা পড়ছে না।
ট্রান্সফরমার চুরি রোধে পুলিশ টহল বৃদ্ধি, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা, প্রযুক্তি ব্যবহার, এবং স্থানীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই চুরির ঘটনা অব্যাহত থাকায় এই পদক্ষেপগুলি কতটা কার্যকর তা প্রশ্নবিদ্ধ। চুয়েটের এক শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন ট্রান্সফরমার চুরি ঠেকানোর জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন।
এই প্রতিবেদনটি ট্রান্সফরমার চুরি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করতে পারছে না। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে আপনাদের অবহিত করব।