বাংলাদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উত্থান ও বিকাশে বিভিন্ন ধাপ, আইন, নীতিমালা এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি বিস্তারিত আলোচনা। ১৯৯২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাসের পর থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দ্রুত বিকাশ ঘটেছে। শিক্ষার বর্ধিত চাহিদা পূরণে সরকারি উদ্যোগের অপূর্ণতা এবং অর্থের অভাব এই বিকাশের পেছনে দুটি প্রধান কারণ। ১৯৯২ সালের আইনটি ১৯৯৮ এবং পরবর্তীতে ২০১০ সালে সংশোধিত হয়েছে। ২০১০ সালের আইনে সুশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে অবকাঠামোগত ও আর্থিক সম্পদের অভাব দেখা দিয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং চাকরি বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বিষয়বস্তু নির্বাচন করে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মান বজায় রাখা এবং মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা একটি চ্যালেঞ্জ। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ এবং উন্নয়ন সংগঠনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়মিত নীতিমালা ও সংশোধনী জারি করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নের চেষ্টা করে। বিশেষ করে টিউশন ফি নিয়ন্ত্রণে নতুন নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯৯২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস
- ২০১০ সালে আইনের সংশোধনী
- ইউজিসির তত্ত্বাবধান
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্থান ও চ্যালেঞ্জ
- টিউশন ফি নিয়ন্ত্রণে নতুন নীতিমালা
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।