ফরিদ আলম

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম

ফরিদ আলম নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, আমরা দুটি ভিন্ন ফরিদ আলম সম্পর্কে আলোচনা করবো।

প্রথম ফরিদ আলম:

এই ফরিদ আলম একজন অভিবাসী শ্রমিক, যার সাথে লেখকের প্যারিসের লা-কুন্নভের একটি বাড়িতে দেখা হয়। তিনি ৫০ বছর বয়সী এবং চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম আমিরুল আলম এবং মাতার নাম আয়শা খাতুন। দারিদ্র্যের কারণে তিনি লেখাপড়া করতে পারেননি। ২০০৩ সালে আয়ের আশায় তিনি দুবাই যান, কিন্তু স্বপ্নের ইউরোপে যাওয়ার জন্য অবৈধ পথ বেছে নেন। ২০১০ সালে তিনি দালাল নূর ইসলামের (নোয়াখালী) মাধ্যমে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ইরান ও তুরস্ক হয়ে গ্রিসে পৌঁছে তিনি জেলে যান, পরে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে জার্মানি যাওয়ার চেষ্টায় তিনি চেক রিপাব্লিকে গ্রেফতার হন। শেষ পর্যন্ত তিনি জার্মানিতে উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্রয় নেন এবং বর্তমানে প্যারিসে বসবাস করছেন, লা-কুন্নভের একটি মেসে রান্নাবান্নার কাজ করেন এবং আনওয়ার–এ–তৈয়বা মসজিদে সময় কাটান। তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসার জন্য পাসপোর্টের আবেদন করেছেন কিন্তু এখনও পাননি।

দ্বিতীয় ফরিদ আলম:

এই ফরিদ আলম (ফরিদ আহমদ) একজন আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ইসলামি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ৩ জানুয়ারি ১৯২৩ সালে কক্সবাজারের রামুর রশিদনগরের মাছুয়াখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে মারা যান। তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য, গণপরিষদের সদস্য, পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের চীফ হুইপ ও কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ছিলেন। তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির সাথে জড়িত ছিলেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মারা যান।

তৃতীয় ফরিদ আলম:

প্রদত্ত পাঠ্যে উল্লেখিত আরও একটি ফরিদ আলম শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছিলেন। তাকে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয় এবং দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

ফরিদ আলম (অভিবাসী)

• চট্টগ্রামের চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

• ২০০৩ সালে দুবাই এবং ২০১০ সালে ইউরোপে অবৈধভাবে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

• জীবনের বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন দেশের উদ্বাস্তু শিবিরে অতিবাহিত করেন।

• বর্তমানে প্যারিসে বসবাস করেন।

• বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন।

• ফরিদ আহমদ (রাজনীতিক): পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য, ১৯৭১ সালে মারা যান।

• শেরপুরের নালিতাবাড়ী ছাত্রদলের আহ্বায়ক: হেরোইনসহ গ্রেপ্তার।

এই নিবন্ধে দুইজন ফরিদ আলম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে: একজন অভিবাসী শ্রমিক এবং আরেকজন রাজনীতিক। অভিবাসী ফরিদ আলমের ইউরোপ যাত্রার কাহিনী এবং ফরিদ আহমদের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।

ছাত্রদল

আমিরুল আলম, আয়শা খাতুন, নূর ইসলাম, রিজিয়া আহমদ, মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, ইবরাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগড়, ইয়াহিয়া খান

চট্টগ্রাম, চন্দনাইশ, গাছবাড়িয়া, দুবাই, ওমান, ইরান, তুরস্ক, গ্রিস, এথেন্স, মেসিডোনিয়া, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, চেক রিপাব্লিক, ইস্তাম্বুল, প্যারিস, লা-কুন্নভ, কক্সবাজার, রামুর, রশিদনগর, মাছুয়াখালী, ঢাকা, শেরপুর, নালিতাবাড়ী, কালিনগর

ফরিদ আলম, অভিবাসন, অবৈধ যাত্রা, ইউরোপ, শরণার্থী, পাসপোর্ট, রাজনীতি, ছাত্রদল, হেরোইন, গ্রেফতার

মূল তথ্যাবলী:

  • • চট্টগ্রামের চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। • ২০০৩ সালে দুবাই এবং ২০১০ সালে ইউরোপে অবৈধভাবে যাওয়ার চেষ্টা করেন। • জীবনের বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন দেশের উদ্বাস্তু শিবিরে অতিবাহিত করেন। • বর্তমানে প্যারিসে বসবাস করেন। • বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন। • ফরিদ আহমদ (রাজনীতিক): পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য, ১৯৭১ সালে মারা যান। • শেরপুরের নালিতাবাড়ী ছাত্রদলের আহ্বায়ক: হেরোইনসহ গ্রেফতার।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।