কোটাবিরোধী আন্দোলন

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:৫৩ পিএম

২০২৪ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের হাইকোর্ট কর্তৃক ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকার কর্তৃক জারি করা একটি পরিপত্র বাতিলের পর সরকারি চাকরিতে কোটাভিত্তিক নিয়োগ ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে একটি ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামে পরিচিত। ২০১৮ সালেও একই ধরণের আন্দোলন হয়েছিল। ২০২৪ সালের আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও পরবর্তীতে সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং ছাত্রলীগের হামলার ফলে আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে। এতে অনেক শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হয়। সরকার কারফিউ জারি করে এবং ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগের নির্দেশ দেয়। তবে আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী নেতাদের গ্রেফতার, নির্যাতন, এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনের ফলে সরকার কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং আন্দোলন স্থগিত হয়। তবে আন্দোলনের সময়কালে অন্তত ২৬৬ জনেরও অধিক মৃত্যু হয়। এই আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক দিকগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০২৪ সালের জুনে হাইকোর্টের রায়ের পর কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু।
  • আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থেকে সহিংসে রূপান্তর।
  • অসংখ্য শিক্ষার্থী নিহত ও আহত।
  • সরকার কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়।
  • সুপ্রিম কোর্ট মেধাভিত্তিক ৯৩% নিয়োগের নির্দেশ।
  • আন্দোলনকারী নেতাদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের অভিযোগ।
  • সরকার কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - কোটাবিরোধী আন্দোলন

জুলাই ২০২৪

কোটাবিরোধী আন্দোলন দমনে পুলিশের বেপরোয়া ভূমিকা।