উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিরা কাজ করে যাচ্ছেন। এই অঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে রাজনৈতিক দল, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংগঠন এবং ব্যক্তিদের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকাণ্ড রয়েছে। উত্তরবঙ্গের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কৃষি, শিল্প, পর্যটন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ অত্যন্ত জরুরি।
- *কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন:** উত্তরবঙ্গের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এই অঞ্চলের কৃষকদের ঋণ সরবরাহ করে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (BADC) কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে। পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (BARD) এবং বিভিন্ন এনজিও (যেমন BRAC, গ্রামীণ ব্যাংক) কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালনা করে। উদ্যান উন্নয়ন বোর্ড (HDB) উদ্যানপালন খাতের উন্নয়নে কাজ করে। তুলা উন্নয়ন বোর্ড (CTDB) তুলাচাষের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে।
- *শিল্প ও বাণিজ্য:** উত্তরবঙ্গে শিল্পায়নের জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (BIDA) বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। বেসরকারি খাতের বিভিন্ন উদ্যোগও শিল্প ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (BFDC) বনভিত্তিক শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে।
- *যোগাযোগ ও অবকাঠামো:** সড়ক, রেল ও নৌপথের উন্নয়নের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (BWDB) নদী ভাঙ্গন রোধ এবং সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (RAJUK) শহর উন্নয়নে কাজ করে।
- *শিক্ষা ও স্বাস্থ্য:** উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কাজ করে। আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করে যা কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর (DYD) যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে।
- *বৈষম্য দূরীকরণ:** উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি এই বৈষম্য দূর করার জন্য নানা উদ্যোগ নিতে পারে।
উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে সকল স্তরের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সমন্বিত পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলের প্রকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করা উচিত।