কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়ার পর ৩৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সদরুল হাসান (৪০) এর মরদেহ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শিলাইদহ খেয়াঘাট এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তার ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আরেকজন এএসআই, মুকুল হোসেন, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
গত সোমবার ভোরে শিলাইদহ ইউনিয়নের শ্রীখোল এলাকায় পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্ত জেলেদের হামলায় সদরুল ও মুকুল নিখোঁজ হন। এই হামলায় কুমারখালী থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম এবং কয়া ইউনিয়ন পরিষদের দুইজন সদস্য, ছানোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন, আহত হন।
স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, কুমারখালীর বেড় কালোয়া এলাকায় অবৈধভাবে জাল ফেলে মাছ ধরার সময় জেলেদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। জেলেদের নেতা ইয়ারুলের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দাবি, তারা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে গিয়েছিল। তবে স্থানীয়রা জানান, পুলিশ ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী জেলেদের কাছ থেকে জোরপূর্বক মাছ নিয়ে যাচ্ছিল।
নিহত সদরুল হাসান পাবনার আতাইকুলা থানার কাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কুমারখালী থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিখোঁজ মুকুল হোসেন মেহেরপুরের কালাচাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং তিনিও কুমারখালী থানার এএসআই ছিলেন।
এই ঘটনায় সদরুল হাসানের মৃত্যুতে পুলিশ এবং স্থানীয়দের মধ্যে গভীর শোক ছড়িয়ে পড়েছে। নিখোঁজ মুকুল হোসেনের অবস্থান এখনও অজানা।