লোহিত সাগরের বন্দর বলতে একটি নির্দিষ্ট বন্দরকে বোঝায় না, বরং লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত একাধিক বন্দরকে বোঝাতে পারে। উল্লেখ্য, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার কারণে লোহিত সাগরের জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেছে, যার ফলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে। এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত বন্দরগুলির একটি তালিকা নীচে দেওয়া হলো:
মুখ্য বন্দর:
- ইয়েমেনের বন্দর: ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরের বন্দরগুলিতে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরের পানিতে ইসরাইলের জাহাজগুলিকে আক্রমণ করছে। ইসরাইলের উত্তরের স্থাপনা, হায়ফা বন্দর এবং ইলাত বন্দর লক্ষ্যবস্তু।
- সুয়েজ খাল: লোহিত সাগরের সাথে সুয়েজ খালের সংযোগ রয়েছে, এবং হুতিদের হামলার কারণে এই খাল দিয়ে জাহাজ চলাচলের ওপর ও প্রভাব পড়েছে।
- যুক্তরাষ্ট্রের বন্দর (দারো বন্দর): মিসিসিপি নদীর দারো বন্দর থেকে 'এমভি মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার' নামক জাহাজ সয়াবিন বীজ নিয়ে লোহিত সাগর পথে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল, কিন্তু সংকটের কারণে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হয়েছে।
- মরক্কোর বন্দর: 'এমভি আকিজ স্টার' জাহাজ মরক্কো থেকে ডিএপি সার নিয়ে লোহিত সাগর হয়ে চট্টগ্রামের পথে ছিল।
- মিসরের বন্দর: মিসর থেকে লোহিত সাগরের মাধ্যমে বাংলাদেশে মাল্টা আমদানি হয়।
- ইউরোপীয় ইউনিয়নের বন্দর: ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক বন্দর লোহিত সাগরের উপর নির্ভরশীল পণ্য আমদানি করে।
লোহিত সাগরের বন্দরের প্রভাব:
লোহিত সাগরের বন্দরগুলিতে হামলা এবং জাহাজ চলাচলে বিঘ্নের কারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি, সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্ন, এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি খাতেও এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। জাহাজের ঘুরপথে যাওয়ার কারণে সময় এবং খরচ বেড়ে গেছে, এবং বিমার মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংকটের সমাধান:
এই সংকটের সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, কূটনৈতিক চেষ্টা, এবং হুতি বিদ্রোহীদের উপর চাপ প্রয়োগের প্রয়োজন। বিকল্প পথের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা ও একটি সমাধান হতে পারে।