মো. মাসুদ রানা: একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
প্রদত্ত লেখ্য অনুসারে, "মো. মাসুদ রানা" নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। লেখ্যের বিভিন্ন অংশে উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে, আমরা এখানে দুটি মো. মাসুদ রানার বর্ণনা তুলে ধরবো:
১. কাল্পনিক চরিত্র:
কাজী আনোয়ার হোসেন সৃষ্ট জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক চরিত্র মাসুদ রানা বাংলাদেশের গুপ্তচরবৃত্তীয় কাহিনীর জগতে একটি অনন্য স্থান অধিকার করে আছে। ১৯৬৬ সালে ‘ধ্বংস পাহাড়’ প্রচ্ছদনামের প্রথম বই থেকে শুরু করে, সেবা প্রকাশনী থেকে মাসুদ রানা সিরিজে চার শতাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। এই চরিত্রকে প্রায়শই জেমস বন্ডের বাংলা সংস্করণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মাসুদ রানা একজন প্রাক্তন মেজর এবং বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স (বিসিআই) এর গোপন এজেন্ট, যার সাংকেতিক নাম MR-9। তিনি রানা এজেন্সি নামক একটি কাল্পনিক গোয়েন্দা সংস্থা পরিচালনা করেন। সিরিজের গল্পে মেজর জেনারেল রাহাত খান, সোহেল, সলিল, সোহানা, রূপা, গিলটি মিয়া প্রমুখ চরিত্রও উল্লেখযোগ্য। মাসুদ রানার কাহিনীতে বিভিন্ন বিদেশী লেখকের বইয়ের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ১৯৭৩ সালে ‘বিস্মরণ’ অবলম্বনে মাসুদ রানা চরিত্রে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, পরিচালক ছিলেন মাসুদ পারভেজ। ১৯৯৪ সালে ‘প্রাচীর পেরিয়ে’ নামে একটি টেলিভিশন নাটকও মাসুদ রানার কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত হয়।
২. শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক:
প্রদত্ত লেখ্যের একটি অংশে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপক মো. মাসুদ রানার উল্লেখ আছে। তিনি সাকার মাছ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন এবং মাছটির জীববৈচিত্র্য, ব্যবহারিক দিক এবং এর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
লেখাটিতে দুটি ভিন্ন মো. মাসুদ রানার কথা বলা হয়েছে, একজন কাল্পনিক চরিত্র, আর অন্যজন একজন বাস্তব ব্যক্তি। এই দুটি ব্যক্তি অভিন্ন নামের কারণে একই ব্যক্তি বলে ভুল ধারণা হতে পারে। সুতরাং প্রসঙ্গের উপর নির্ভর করে ঠিক কোন মো. মাসুদ রানার কথা বলা হচ্ছে, তা বুঝে নেওয়া জরুরী।